সংক্ষিপ্ত

খাদ্য দফতর, স্বাস্থ্য দফতর ও পরিবহন দফতরে চুক্তির ভিত্তিতে বেশ কিছু কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই নিয়েই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 'এসব টাকা খাওয়ার পথ' বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। 

সোমবারই ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। আর সেখানে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই এই নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানান তিনি। জানান, খাদ্য দফতর, স্বাস্থ্য দফতর ও পরিবহন দফতরে চুক্তির ভিত্তিতে বেশ কিছু কর্মী নিয়োগ করা হবে। আর এই নিয়েই এবার রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 'এসব টাকা খাওয়ার পথ' বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। 

প্রতিদিনের মতো আজ সকালে নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন দিলীপ। সেখানেই রাজ্য সরকারের নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, "এসব টাকা খাওয়ার একটা পথ মাত্র। কিছু অস্থায়ী লোক নেবে, যেখানে চাকরির কোনও নিশ্চয়তা নেই। এদিকে সেটা পেতে গেলেও আবার কাটমানি দিতে হবে। আসলে লোক নিয়োগ হবে না। ফোন করে বিজ্ঞাপন দিয়ে লোক নেওয়ার কথা বলছেন ওরা। সেটা আসলে নেতাদের টাকা খাওয়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।"

আরও পড়ুন- বাড়তে পারে জেলার সংখ্যা, কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত আমলা চাওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় দুর্নীতি সামনে এসেছে। এমনকী, সেখানে নাম জড়িয়ে পড়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। সেই প্রসঙ্গকে টেনে নিয়ে এসে দিলীপ ঘোষ বলেন, "শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও তো তাই হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ চাকরি দেওয়া হয়নি। পুলিশের পোষ্ট খালি আছে কিন্তু লোক নিচ্ছে না। রাজ্য সরকারের এই নতুন করে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ও পরিবহন ক্ষেত্রে অস্থায়ী লোক নেওয়ার মানেই হল নেতাদের কাটমানি খাওয়ার ব্যবস্থা করা।"

আরও পড়ুন- বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা বৃথা, বাদুড়িয়া কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের জালে তৃতীয় অভিযুক্ত

সোমবার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ১৫ তম ফিনান্স হেলথ কমিশনের গ্রান্টের অধীনে স্বাস্থ্য দফতর চুক্তির ভিত্তিতে ১১ হাজার ৫৫১ জনকে নিয়োগ করবে। খাদ্য দফতরে ৩৪২ জনকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে নেওয়া হবে। এই নিয়োগও হবে চুক্তির ভিত্তিতেই। পাশাপাশি সীমান্ত লাগোয়া ট্রাক টার্মিনালগুলিতে বেআইনি কাজ হত। সেগুলিও সরকার অধিগ্রহণ করছে। সেখানেও ঠিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।

আরও পড়ুন- রাজ্যের পাঁচ ধর্ষণকাণ্ডের কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের, নির্যাতিতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশ  

এছাড়া ওই বৈঠকে রাজ্যে জেলার সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পার্থ। তিনি বলেন, "জেলাগুলিকে পুনর্গঠিত করতে রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইএএস ও আইপিএস নেই। সেই কারণে এককালীন WBCS এবং WBPS-এর সংখ্যা বাড়াতে সেই কমিটি তৈরি করা হবে। পাশের ছোট জেলাগুলিতে জেলার সংখ্যা অনেক বেশি। তাই একইভাবে বাংলাতেও জেলার সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু, আইএএস ও আইপিএস পর্যাপ্ত না থাকায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না। তাই কেন্দ্রের কাছ থেকে আইএএস ও আইপিএস চাওয়া হচ্ছে।"