সংক্ষিপ্ত

  • কবে থেকে রাজ্যে চলবে লোকাল ট্রেন
  • আপাতত সবথেকে বড় প্রশ্ন সেটাই
  • এই প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারকে চিঠি 
  • চিঠি দিল পূর্ব রেল

কবে থেকে রাজ্যে চলবে লোকাল ট্রেন। আপাতত সবথেকে বড় প্রশ্ন সেটাই। এই প্রসঙ্গেই রাজ্য সরকারকে চিঠি দিল পূর্ব রেল। রাজ্যে যাতে ফের লোকাল ট্রেন চালু করা যায়, সেই সংক্রান্ত আবেদন জানিয়েই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে কী লোকাল ট্রেন চালু করার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার? কৌতুহল বাড়ছে সাধারণের মনে। 

পূর্ব রেল নিজেদের দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছে শিয়ালদা ও হাওড়া ডিভিশন মিলিয়ে এখন প্রায় ৩৪০টির মতো স্পেশাল ট্রেন চলছে, যার সাহায্য নিতে পারছেন রেলের কর্মীরা, অন্যান্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষ। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তানই পরিষেবা স্বাভাবিক করার আবেদন জানিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে পূর্ব রেল। 

এখন শুরু স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে রাজ্যে। তবে লোকাল ট্রেন না চলায় রীতিমত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। রুটি রুজি হারিয়ে আর্থিক সমস্যায় সাধারণ মানুষ। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে দিনে দিনে বিভিন্ন রুটে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। তাই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হোক। জুন মাসের ১৬ ও ১৭ তারিখ দূরপাল্লার বেশ কয়েকটি ট্রেন চালু করা হচ্ছে বলে খবর। 

স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চললেও, তাতে পেটের দায়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে সাধারণ যাত্রীরাও উঠে পড়ছে, ফলে ভীড় বাড়ছে ট্রেনে। এতে সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে বলে মত পূর্ব রেলের। এই পরিস্থিতিতে আরও ট্রেন চালু করা হোক বলে মত রেল কর্তৃপক্ষের। উল্লেখ্য, ৭ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত এই ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়। পূর্ব রেলের এক প্রবীণ আধিকারিকের মতে, এই ট্রেনগুলি গত বছর করোনার সময়ে চালানো হয়েছিল। কিন্তু কখনও খুব বেশি যাত্রী পাওয়া যায়নি। এদিকে একুশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি বাংলায়। যার জেরে যাত্রী সংখ্যা এবারও অনেক কমে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রেলওয়ে এই ট্রেনগুলি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।  

প্রসঙ্গত, করোনা রুখতে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজার করে এলে বা বাইরে থেকে এলে হাত ধুতে হবে এবং স্যানিটাইজ করতে হবে।  মাস্ক পরতে হবে, মাস্ক না পরলে কড়া ব্যবস্থা। ৫০ শতাংশ হাজিরা সরকারি ও বেসরকারি অফিসে। শপিং মল, বিউটি পার্লার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, জিম, শপিং কমপ্লেক্স, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, অডিটোরিয়াম, স্পা সেন্টার ও হিলিং সেন্টার- পুরোপুরি বন্ধ। 

সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক জমায়েতে ৫০ শতাংশের বেশি লোক নয়। বিবাহ অনুষ্ঠান,সাংস্কৃতিক জমায়েতে ৫০ জনের বেশি নয়। এই ধরণের জমায়েতের জন্য আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুমোদন দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমায়েত করতে হবে। বাজার, রিটেল আউলেট, স্ট্যান্ড অ্যালোন শপ সকালে ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় জমায়েত, সমাবেশে ৫০ শতাংশ ভিড়। এবং মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি, আগে থেকে অনুমতি থাকতে হবে।