সংক্ষিপ্ত
বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের প্রাক্কালে শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের আগে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করল নির্বাচন কমিশন।
বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের প্রাক্কালে শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ । বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের আগে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করল নির্বাচন কমিশন । যাতে নির্বিঘ্নে এই বালিগঞ্জ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সম্পন্ন করা যায়। যদিও বিগত দিনের নির্বাচনে এমন ঘটনা নজির আছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না । যেখানে এত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, হয়তো কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার মনে করেছে অধিক পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলে তাদের দলীয় প্রার্থীরা অধিক পরিমাণে ভোটে জয়লাভ করতে পারে। অথবা নির্বাচন কমিশন হয়তো মনে করেছে এই মুহূর্তে যেহেতু কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসে বসে মাইনে দিতে হচ্ছে সরকারকে, তাই এধরনের উপনির্বাচনে পাঠিয়ে তাদেরকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখতে হবে।
যদিও এই সমস্ত কিছুর মধ্যে বালিগঞ্জের মানুষ কিন্তু বিষয়টাকে 'ভালো চোখে দেখছে না' বলেই খবর উঠে এসেছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। বর্ষিয়ান নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে বাবুল সুপ্রিয় যে অ্যাডভান্টেজ পজিশনে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত এই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য়ের বিধানসভা ভোটের পর থেকে কম জল গড়ায়নি। রাজ্যের সকল উপনির্বাচন এবং পুরভোটে সর্বদাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই চেয়ে এসেছে বিজেপি। তবে বারবার কলকাতা হাইকোর্টে এনিয়ে মামলাও উঠেছে। কিন্তু প্রতিবার পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও দরকার নেই বলেই সাফ জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর মাঝে সংযোগ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশে আস্তা রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে মত না দেওয়ায়, নির্বাচনে অশান্তির কোনও ঘটনা ঘটলে দায় কমিশনকেই নিতে হবে ১০৮ পুরভোটের আগে সাফ জানিয়েছিল হাইকোর্ট।
মূলত রাজ্য পুলিশ মূলত মমতার সরকারের হয়ে কাজ করে, এই অভিযোগ প্রথম থেকেই করে এসেছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূলেরর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী সর্বদাই বিজেপির প্রতিনিধি হয়েই কাজ করে এসেছে। যদিও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটেই, কোচবিহারে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েই চরম বিতর্ক ছিল রাজ্যে। যেখানে রক্ত পর্যন্ত ঝরেছিল। পরিস্থিতি এতটাই চরমে পৌছেছিল, যে রাতারাতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ওই এলাকা। তবে বাইশ সালে দাঁড়িয়ে যতোই কাদা ছোঁড়াছুড়ি হোক, শেষ অবধি এবার বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এদিনই হয়ে গেল রুট মার্চ। পথ সেই দেখাল, কলকাতা পুলিশ।