সংক্ষিপ্ত
দোরগড়ায় কলকাতা পুরসভা ভোট।পুরভোট নিয়ে কী ধরণের নিরাপত্তা আয়োজন করা হবে, এনিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েছে, মঙ্গলবার কমিশনের পুরসভা রিপোর্ট নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
মঙ্গলবার কমিশনের পুরসভা রিপোর্ট নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। উল্লেখ্য, রাজ্য ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভা ভোট (Municipal Election 2021) । পুরভোট নিয়ে কী ধরণের নিরাপত্তা আয়োজন করা হবে, এনিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েছে। নির্বাচন কমিশনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর পুরভোট নিয়ে যাবতীয় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল (Governor)।
পুরভোট নিয়ে কী ধরণের নিরাপত্তা আয়োজন করা হবে, এনিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে কমিশেের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েছে। গত শুক্রবার কলকাতার যুগ্ম কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। এর ভিত্তিতেই কমিশনারের কাছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত খুটিনাটি তথ্য সম্বনিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েঠছে কমিশনের তরফে। তার ভিত্তিতেই সোমবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। জানি গিয়েছে, রিপোর্টে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে মোট ৩২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে কলকাতা পুলিশ থাকবে ২৭ হাজার এবং ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ থাকবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সূত্রে খবর, শেষবার কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে এই একই সংখ্যক বাহিনী ছিল। তবে এবার যেহেতু বুথের সংখ্যা বেড়েছে, তাই এবার পুলিশের সংখ্যাও বাড়বে। প্রতি বুথে একজন করে এসআই, একজন করে এএসআই এবং দুজন করে সশ্বস্ত্র পুলিশ থাকবে।
সম্প্রতি রাজভবনে নির্বাচনের কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকেও পুরভোট নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল, কী কারণে একই দিনে হল না পুরসভা ভোট। এদিকে একই সঙ্গে সকল পুরভোটের ইস্যুতে রাজ্য কমিশন নির্বাচন বলেছে, এত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই যে, একই সঙ্গে ১৪৪ টি ভোট করা যাবে।এর পাশাপাশি পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েও সওয়াল করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বৃহস্পতিবার কমিশনারকে নিরপেক্ষ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। টুইট করে রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে বলেন, সাংবিধানিক নিয়ম নীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ , তাই সেটা মেনে চলা উচিত। এর আগে কমিশনের পুরভোট নিয়ে বৈঠক করেছেন জগদীপ ধনখড়। কমিশনকে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে, রাজ্য সরকারের শাখা হিসাবে কাজ করলে চলবে না। তাঁদের কথা মতো চললেও হবে না, স্পষ্ট করে সতর্ক করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। ১৯ ডিসেম্বর কীভাবে ভট হতে চলেছে, এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নেবেন রাজ্যপাল।