সংক্ষিপ্ত
শিশুদের ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকছে জ্বর না থাকা, ডায়ারিয়া, সর্দি-কাশি। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলি হল জ্বর না থাকা, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, শরীর দুর্বল, খাওয়া দাওয়ার ইচ্ছে চলে যাওয়া।
কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে না। এমনকী, গা,হাত, পা-ও ঠান্ডাই রয়েছে। কিন্তু, অসম্ভব দুর্বল হয়ে পড়ছে শরীরে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই কাটাতে হচ্ছে বাথরুমে। কী কারণে একাধিকবার বাথরুমে ছুটতে হচ্ছে তা জানতে রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপরই জানা গিয়েছে শরীরে বাসা বেঁধেছে ম্যালেরিয়ার জীবাণু। ম্যালেরিয়া হচ্ছে অথচ জ্বর আসছে না। কলকাতায় দু’সপ্তাহে এরকম ১০ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার মধ্যে চারজন শিশু।
শিশুদের ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকছে জ্বর না থাকা, ডায়ারিয়া, সর্দি-কাশি। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলি হল জ্বর না থাকা, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, শরীর দুর্বল, খাওয়া দাওয়ার ইচ্ছে চলে যাওয়া। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছন বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুন- জমি বিবাদের জের, মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে অপহৃত মা
রাজ্য থেকে করোনা এখনও পর্যন্ত বিদায় নেয়নি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট একটু কম হলেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। যে কোনও সময়তেই তা আছড়ে পড়তে পারে। আর তার মধ্যেই এক নতুন রোগের প্রোপ দেখা গেল মহানগরীতে। এ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকরাও। কারণ জ্বর না থাকায় রোগ ধরতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। প্রথমে ডায়ারিয়ার ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল। তারপরও যদি না কমে তখন সর্দি-কাশির ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আর তাতেও না কমলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেই সময়ই ধরা পড়ছে আসল রোগ। জানা যাচ্ছে প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স থাবা বসিয়েছে শরীরে।
আরও পড়ুন- দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু মামলায় শুভেন্দুকে তলব সিআইডির, সোমবার ভবানীভবনে হাজিরার নির্দেশ
প্রতিনিয়ত চরিত্র বদল করছে করোনা ভাইরাস। প্রথমে আলফা তারপর ডেল্টা আর এখন ডেল্টা প্লাস। দেখা দিচ্ছে নিত্য নতুন উপসর্গ। এভাবে প্রতিনিয়তই চিকিৎসকদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে ভাইরাসটি। আর এবার একইভাবে চরিত্র বদলেছে ম্যালেরিয়াও। যেখানে ম্যালেরিয়া হলে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে সেখানে এখন জ্বরই আসছে না। পুরোনো উপসর্গ বদলে গিয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে জ্বরহীন ম্যালেরিয়া। রোগ নির্ণয়ে দেরি হওয়ায় চিকিৎসা শুরু করতেও সময় চলে যাচ্ছে।
দু’ধরনের পরজীবী ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী। প্লাজমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স ও পি ফেলসিফেরাম। সংক্রমিত স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা কাউকে কামড়ালে তার মাধ্যমে জীবাণু শরীরের মধ্যে প্রবেশ করছে। এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, রোগ ধরতে দেরি হলেই বিপদ। কারণ যকৃতে গিয়ে ম্যালেরিয়ার জীবাণু বাসা বাঁধবে। প্রজনন করবে। অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন। নতুন ম্যালেরিয়া নিয়ে তাই আতঙ্কে রয়েছেন চিকিৎসকরা।