সংক্ষিপ্ত
সংবিধানের ১৭৪ নম্বর ধারা বলেই তিনি এই কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল। এদিকে তার এই কাজ পরেই তা নিয়ে জোরদার বিতর্ক শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিধানসভার অধিবেশনের স্থগিত ঘোষণা করে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যা নিয়ে এদিন দিনভর চলে ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা। সংবিধানের ১৭৪ নম্বর ধারা বলেই তিনি এই কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন রাজ্যপাল। এদিকে তার এই কাজ পরেই তা নিয়ে জোরদার বিতর্ক শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। পক্ষে বিপক্ষে উঠে আসতে থাকে নানা মতামত। এদিনই এই ইস্যুতে মুখ খুলতে দেখা যায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সাংবিধানিক সংকট যদি রাজ্যপাল করেন তাহলে তাহলে রাষ্ট্রপতি কাছে এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানান যায়। কেই যদি রাজনীতিক উদ্দেশে কিছু করে থাকে তাহলে রাজ্য সরকার সেই ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।” তার এই মন্তব্য নিয়েই বর্তমানে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।
এদিকে নতুন বছরেও একাধিক তৃণমূল নেতার পাশাপাশি ফিরহাদের সঙ্গেও সম্পর্কটা বিশেষ ভালো না রাজ্যপালের। চলতি মাসের শুরুতেই পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে মুখ্যমন্ত্রী ধমক দেওয়ার পরেই আইএএস ও আইপিএসদের সংগঠনকে ট্যাগ করে ট্যুইটে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেখানে তিনি লেখেন, “কী উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ব মেদিনীপুরের এসপিকে জিজ্ঞেস করছেন, রাজ্যপাল আপনাকে ফোন করেন? ” এরপরেই রাজ্যপালকে পাল্টা কটাক্ষ করতে দেখা যায় ফিরহাদকে। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল কী বলছেন জানি না। প্রশাসনিক প্রধানের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশাসনের যে কোনও স্তরে পরামর্শ দিতে পারেন। এটা ওঁর কাছে ওঁর কর্তব্য। রাজ্যপালের জ্ঞান আমাকে শুনতে হবে না।” তাঁর ওই বক্তব্য নিয়েও শুরু হয় ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতর।
আরও পড়ুন-কী বলছে সংবিধানের ১৭৪ নম্বর ধারা, কোন ক্ষমতা বলে বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করলেন রাজ্যপাল
আরও পড়ুন-বৈরিতা ভুলে ভোটমুখর বিধাননগরে হাগ ডে-তে কোলাকুলি সব্যসাচি-জয়প্রকাশের, তুঙ্গে জল্পনা
এদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে বিধানসভার দু'টি অধিবেশন হয়েছে। প্রথমটি বাজেট অধিবেশন, দ্বিতীয়টি শীতলাকীন। ১৭ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি করে দেন। যা বাংলার পাশাপাশি সাড়া ফেলে দেয় গোটা দেশে। কারণ এই ধরণের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে নেই বললেই চলে। এদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রায়শই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে থাকে। তারই মধ্যে এই ঘটনা সেই সংঘাতের আবহে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের।
আরও পড়ুন- কোথাও ছাপ্পা তো কোথাও এলাকার বাসিন্দাদের মারধর, বেলা বাড়তেই ব্যাপক উত্তেজনা বিধাননগরে