সংক্ষিপ্ত
'পুলিশ পিটিয়ে' ক্রিসমাসের আগের রাতে গ্রেফতার ৫ জন মদ্যপ। বড়দিনের আগে ধুন্ধুমার শেক্সপিয়ার সরণী। শেকস্পিয়ার থানা এলাকার এখটি পানশালায় মদ্যপ অবস্থায় তাণ্ডব চালাল একদল যুবক এবং যুবতি।
'পুলিশ পিটিয়ে' ক্রিসমাসের (Christmas) আগের রাতে গ্রেফতার ৫ জন মদ্যপ (Five arrested)। বড়দিনের আগে ধুন্ধুমার শেক্সপিয়ার সরণী। শেকস্পিয়ার থানা এলাকার একটি পানশালায় মদ্যপ অবস্থায় তাণ্ডব চালাল একদল যুবক এবং যুবতি। ক্লাব কর্তৃপক্ষ যুবক এবং যুবতীদের বাইরে বের করে দিলেও তাণ্ডব চলতে থাকে। রাস্তা নেমে তাঁরা অভব্যতা চালাতে থাকে। পুলিশকে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে শেক্সপিয়ার সরণি থানা এলাকায় একটি নাইট ক্লাবে এই ঘটনাটি ঘটে। ওই নাইট ক্লাবে শুক্রবার অধিকরাত অবধি মদ্যপান করেছিলেন একদল যুবক-যুবতী। সেইসময় বচসা শুরু হয়। রাত বাড়লে জটিলতা আরও বাড়তে থাকে। সেই সময় পুলিশকে খবর দেয় নাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। নাইট ক্লাব থেকে ওই যুবক-যুবতীদের বের দেওয়া হয়। এদিকে রাস্তায় বেরিয়েও তাঁদের মধ্যে গণ্ডোগোল চলতে থাকে। নিরাপত্তারক্ষীরা এগিয়ে এসে বিষয়টিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও শেষ অবধি সম্ভব হয়নি। শেক্সপিয়ার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে সামাল দিতে যায়। সেখানেও মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে পুলিশ। অভিযোগ, তখনই পুলিশদের ধাক্কাধাক্কি দেয় ওই মদ্যপ যুবকেরা। এরপরেই ঘটনাস্থল থেকেই ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার দুপুরে অভিযুক্তদের ১৪১, ৩৫৩ এবং ১১৪ সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা যদিও এনিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
উ্ল্লেখ্য শহরে বড়দিন উপলক্ষে যাতে কোনও অশান্তি তৈরি না হয়,তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল কলকাতা পুলিশ। তাই শেক্সপিয়ার সরণি থানা এলাকায় ঘটনা রোধ করা গিয়েছে। এদিকে শীতের আমেজ কিছু কমলেও ভাটা পড়েনি বড়দিনের উৎসবে।এই দিনগুলিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে পার্কস্ট্রিট, ভিক্টোরিয়া, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ এবং ময়দান চত্ত্বরে।কোভিডের জেরে গত বছর ভিড় কম থাকলেও এবছর ভালই মানুষের জমায়াত হয়েছে। যদিও ২০২০ সালের থেকে একুশের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। যদিও উকি দিয়েছে ওমিক্রন। দেশের একাধিক রাজ্য নাইট কার্ফু জারি করলেও এরাজ্যে এখনও তা শিথিল করে রাখা হয়েছে।সকাল থেকেই পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ৩ হাজার পুলিশ কর্মী। এছাড়াও রয়েছে ৩টি ওয়াচ টাওয়ার, ১০টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র, ২টি কুইক রেসপন্স টিম। এবং সিসিটিভির মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে পার্ক স্ট্রিট মোড়ের কাছে গঠন করা হয়েছে পুলিশের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম। শপিং মল এবং চার্চগুলিতেও কড়া নজর রাখছে কলকাতা পুলিশ।