সংক্ষিপ্ত

মৃতদেহ সৎকার ইস্যুতে রাজভাবনের সঙ্গে সংঘাতে রাজ্যসকার
দীনেশ ত্রিবেদী সোশ্যাল মিডিয়ার বার্তায় হতাশ রাজ্যপাল
ক্ষমতা চাইতে হবে মমতা সরকারকে
নিজের অবস্থানে অনড় রাজ্যপাল
 

মৃতদেহ সৎকার ইস্যুতে আবারও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়েরর সঙ্গে সংঘাত ক্রমশই বাড়ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের।  শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করার যে ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে তার নিন্দা করে অমানবিক বলেছেন রাজ্যপাল। তারপর  থেকেই আসরে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। এবার আক্রমণের প্রথম সারিতে ছিলেন তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল ভুল তথ্য বা ফেক নিউজ ছড়াচ্ছেন। এর জন্য তাঁর লজ্জা করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। 

এরপরই দীনেশ ত্রিবেদীর বক্তব্যের উত্তর দিতে আসরে নামেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।  পাশাপাশি তিনি নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এদিন তিনি বাংলাতেও সোস্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন। তিনি বলেন বাংলার মানুষের সেবা করার সংকল্প থেকে সস্তায় বাজিমাত করার কৌশল তাঁকে সরাতে পারবে না। বাংলার হৃত গৌরব উদ্ধারের কাজ তিনি চালিয়ে যাবেন। দেশের শীর্ষে বাংলাকে দেখার জন্য আরও শক্তি নিয়ে ধর্মযুদ্ধ চালাবেন বলেও অঙ্গীকার করেছেন। পাশাপাশি রাজ্যেপালের নিশানায় ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদীও। তিনি বলেন, ভাবমূর্তি সচেতন দীনেশ ত্রিবেদীরও বিচ্যুতি হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ আঁকশি দিয়ে মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে লজ্জা পাওয়ার পরিবর্তে  তিন সাংসদ তাঁকেই আক্রমণ করছেন। বরিষ্ঠ নেতৃত্বের এই আচরণ তাঁকে হতবাক করেছে বলেও অভিযোগ করেন। 

এখানেই শেষ করেনননি রাজ্যপাল। তিনি সবাসরি নিশানা করেন দীনেশ ত্রিবেদীকে। বিধানসভায় তাঁকে অপমান করা হয়েছিল। বাধানসভায় তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অধ্যক্ষই গেট আটকে দিয়েছিলেন। সংবিধান দিবসে সাংবিধানিক প্রধানের নামই ছিল ৬ নম্বরে। এই অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, তখন কোথায় ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। রাজ্যপালেন আরও অভিযোগ, জরুরী আবস্থার মত যেদিন রাজ্যপালেন বক্তব্য ব্ল্যাক আউট করা হয়েছিল, সেদিন দীনেশ ত্রিবেদীর নীরবতা তাঁকে কষ্ট দিয়েছে। 


তিনি আরও অভিযোগ করেন দীনেশ ত্রিবেদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মত ভাড়াটে সংস্থার কাছে পণবন্দী। তাঁর বিবেক দংশন হবে না বলেও কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি ২০১৬ সালে সেরা সাংসদ নির্বাচিত হওয়া নিয়েও সমালোচনা করতে পিছপা হননি রাজ্যপাল। 


তবে এতকিছুর পরেও রাজ্যপাল নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। তিনি বলেছেন মৃতদেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা মানবতার ওপর একটি কলঙ্ক। সম্মানের সঙ্গে সৎকার একটি আইনও। আর তা না মানার জন্য সরকারের ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।