সংক্ষিপ্ত
এসএসকেম-র উডবার্ণে বিকেলটা একটু অন্যরকম হতে পারত। 'কনে দেখা আলো'য় অনুব্রত ওরফে কেষ্ট সঙ্গে পার্থ-র সাক্ষাত হতে পারত। কিন্তু সেসব কিছু হওয়ার আগেই ঘুড়ির লাটাই হাতে নিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মন্ত্রীকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্য়েই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতেই হবে। কিন্তু কোনওভাবেই সিবিআই দফতরে যাওয়ার সময় পাশ কাটিয়ে এসএসকেম-র উডবার্ণে ভর্তি হওয়া চলবে না। এদিকে এসএসকেম-র উডবার্ণে বিকেলটা একটু অন্যরকম হতে পারত। 'কনে দেখা আলো'য় অনুব্রত ওরফে কেষ্ট সঙ্গে পার্থ-র সাক্ষাত হতে পারত। কিন্তু সেসব কিছু হওয়ার আগেই ঘুড়ির লাটাই হাতে নিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এসএসকেম-র পার্থ-র সঙ্গে দেখা হওয়ার স্বপ্ন ফ্লপ ! কনে দেখা আলোয় একাই উডবার্ণে কেষ্ট
প্রসঙ্গত, গরুপাচারকাণ্ডে সিবিআই তলব পেতেই 'অতিথি আদরের' ভয়ে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ হয়ে নিজাম প্যালেসের পাশ দিয়েই সোজা গিয়ে এসএসকেম-এ ভর্তি হয়েছেন। তাও প্রায় এবার একসপ্তাহ হওয়ার পথে। মেডিক্যাল টিম থেকে উডবার্ণের বিছানায় তৃণমূলের লোগো দেওয়া পাঞ্জাবি পরা কেষ্ট-র ছবি দেখেছেন সারা বাংলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মাইলি ইমোজির বন্যা বয়ে গিয়েছে। যদিও কিছুটা হলেও এদিন ডিফোকাস ছিলেন অনুব্রত। একেতো উপনির্বাচন, তার উপর আবার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড, সংবাদমাধ্য়মের সব আলো ওই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উপরেই আছে। একেই উডবার্নে বুকধুকপুক তো ছিলই কেষ্ট-র। তবুও দলের সিনিয়র দাদার দেখা পেলে আরও একটু ভালো লাগত। সেসব কিছু আর হওয়ার অবকাশ রইল না। তাই ফাঁকতালে বিকেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা টেখা হবে, কেষ্ট-র এমন স্বপ্ন দেখার আগেই দুরমুচ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, 'উডবার্ণ কি কয়েদিদের আশ্রয়খানা', অনুব্রত-র অস্বস্তি বাড়িয়ে বিস্ফোরক কুণাল
'প্রয়োজনে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে পারবে সিবিআই', তবে কুণালের ভবিষ্যতবানীই মিলতে চলেছে ?
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছে, কোনওভাবেই সিবিআই হাজিরা এড়াতে পারবেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এসএসকেম হাসাপাতালের উডবার্ণ ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পারবেন না তিনি। একই সঙ্গে বিচারপতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, প্রয়োজনে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে পারবে সিবিআই। পালটা বিচারপতি-র নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থ-র আইনজীবীরা। প্রসঙ্গত, উপনির্বাচনের সকাল থেকে গন্ডোগোলের মাঝেই বেশ ভালই ছিল ঘাসফুল শিবির। শুধু আসানসোলের রেকর্ড হওয়া থেকে ভাঙতে হবে, কম বেশি এনিয়েই চিন্তায় মত্ত সবাই। তবে হেনকালে যে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এমন মাস্টার স্ট্রোক দেবেন, তা বোধয় কেউ কল্পনা করতে পারেননি। যদিও কাকতালীয়ভাবে গতকালই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, 'আইকোর-র পৃষ্ঠপোষক এখন মন্ত্রী হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো উচিত'। তবে তার চব্বিশ ঘন্টা পেরোনোর আগেই তোপ দাগল হাইকোর্ট।