সংক্ষিপ্ত
- সময়টা তখন ৭০-এর দশক, পুরনো কোলকাতা
- ক্যাবারে শব্দটার সঙ্গে মিস শেফালি নামটাই উঠে আসে
- যাকে স্বচক্ষে দেখলে পুরুষের রাতের ঘুম উড়ে যেত
- মিস শেফালির ভূমিকায় দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে
সময়টা তখন ৭০-এর দশক। পুরনো কোলকাতা। হাতিবাগানের থিয়েটার পাড়া তখন জমজমাট। ছবিতে আর ছবির বাইরে তখন এক অদ্ভুত উন্মাদনা একজনকে ঘিরে। যাকে স্বচক্ষে দেখলে সে সময় পুরুষের রাতের ঘুম উড়ে যেত। মধ্য়রাতে, পুরুষরা পরকীয়া স্বপ্নে মেতে থাকত তাঁকে নিয়ে। অনেক পুরুষ আবার নাম্বার জোগাড় করে ফোনও করে ফেলত তাঁকে। বাঙালির যাবতীয় আগুনকে উসকে দিতে একটাই শব্দ ছিটকে ওঠে সেই সময় ক্যাবারে । আর এই শব্দটার সঙ্গে উঠে আসে একটাই নাম মিস শেফালি। তবে সেই পুরুষদের পাশাপাশি আরও একজনও ছিলেন মিস শেফালির অনুরাগী। উন্মাদনায় নয় বরং বেশ খানিকটা ভালবাসায় যিনি মিস শেফালিকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন, তাঁর নাম ঋতপর্ণা সেনগুপ্ত।
উল্লেখ্য়, ১২ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসেন শেফালি। তারপর সংসারের যাবতীয় দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। কলকাতার একের পর এক নামজাদা জায়গায় বেলিডান্সের মাত করে দিয়েছিলেন তিনি। সত্যজিৎ রায়ের দুটি অসামান্য ছবি 'প্রতিদ্বন্দ্বি' ও 'সীমাবদ্ধ'-এ বিশেষ ভূমিকায় দেখি গিয়েছিল তাঁকে। ছবি ছাড়াও বাস্তবেও মিস শেফালির সঙ্গে ঋতুপর্ণার আরও একটি মানবিক মুখও রয়েছে। ২০১৮ সালে শেফালি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ বোতল রক্ত। যার মধ্যে ২ বোতল জমা করতে পেরেছেন তাঁর আত্মীয়রা। সাহায্যের জন্য় সে সময় এগিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও।
অপরদিকে, পরিচালক নীতীশ রায়ের 'তদন্ত' নামের ছবিটি মূলত একটি মেয়ের বায়োপিক। যেখানে আরতি দাস নামের মেয়েটি ক্রমশই মিস শেফালি হয়ে ওঠে। আর এই পথে তাঁকে পেরোতে হয় অসংখ্য বিশ্বাসভঙ্গ আর বিচ্ছেদের মধ্য়ে দিয়ে। আর সময়টা ৭০-এর দশকের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। আর এই ছবিতেই মিস শেফালির ভূমিকায় দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা জানালেন, তদন্ত এক নারীর নিজস্ব সংগ্রামের ছবি। ত্রিকোণ প্রেম। যে ছবিতে ঋতুপর্ণার সঙ্গে অভিনয় করছেন বাংলা মঞ্চের দুই দুঁদে অভিনেতা দেবশংকর হালদার এবং গৌতম হালদার। তাই সব দিক থেকেইপ্রাসঙ্গিক মিস শেফালির ছবিতে আর বাস্তবতায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।