সংক্ষিপ্ত
রথই উধাও হয়ে গেল এবারের রথযাত্রায়। জগন্নাথ বলরাম আর বোন সুভদ্রা তাই বাধ্য হয়ে মাসির বাড়ি গেলেন চার চাকার গাড়িতে।
করোনা অতিমারীতে রথযাত্রা। তাই নিয়মের কড়াকড়ি। কিন্তু রথই উধাও হয়ে গেল এবারের রথযাত্রায়। জগন্নাথ বলরাম আর বোন সুভদ্রা তাই বাধ্য হয়ে মাসির বাড়ি গেলেন চার চাকার গাড়িতে। শুনে অবাক লাগছে? অবাক হবেন না। এমনই ঘটনা ঘটেছে খোদ কলকাতা শহরে। চার চাকার এসি গাড়ি করেই মাসির বাড়ি রওনা দিলেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা।
এমন চিত্র দেখা গেল সল্টলেকে। ভাগবত সমাজের উদ্যোগে ৩৮ বছর ধরে রথযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে। গত দুবছর করোনা অতিমারীর জন্য রথের বদলে চার চাকা গাড়িতে করে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রাকে সল্টলেকে বিএফ ব্লকের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেন্ট্রাল পার্ক, ময়ূখ ভবন, সিটি সেন্টার, বিদ্যাসাগর আইল্যান্ড, পিনবি মোড় হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানোর পর মাসির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই রথের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগরের বিধায়ক তথা দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগর পৌর নিগমের প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এদিকে, পুজো আসছে। তার কাউন্টডাউন শুরু হয় রথযাত্রার দিন। মা দুর্গার কাঠামোতে পড়ে মাটি। দেখুন রীতিনীতি মেনে রথের দিনে দেবী প্রতিমার কাঠামো মাটি লাগানো হয়। এই বছরও তার অন্যথা হয়নি।
রথের দিন দুর্গা কাঠামোয় মাটির প্রলেপ বয়ে আনে অনেক নস্টালজিয়া। তেলেভাজা-পাঁপড় ভাজা- জিলিপির গন্ধ ছাপিয়ে ভেসে আসে শিউলির ওম। রথের রশিতে টান পড়া মানেই তো ঢাকে কাঠি পড়ার অপেক্ষার শুরু। আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে বিভিন্ন পুজো কমিটির ব্যস্ততা। বচ্ছরকার দিনে মেয়ে উমাকে ঘরে আনার প্রস্তুতি কি কম? প্যান্ডেল বাঁধার কাজ, সঙ্গে প্রতিমার বায়না দেওয়া। সব মিলিয়ে পুজো পুজো ভাবেই কেটে যায় অপেক্ষার দুটো মাস।