সংক্ষিপ্ত
হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। আর এই ঘটনা নিয়ে তদন্তে কী কী অগ্রগতি হয়েছে তা জানার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি। বুধবার বিকেল ৪টের সময় তাঁদের রাজভবনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবারই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। শুধুমাত্র টুইট না করে রাজ্যপালকে কিছু পদক্ষেপ করার কথা বলেছিলেন তিনি। আর এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের টুইট করেন রাজ্যপাল। হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। আর এই ঘটনা নিয়ে তদন্তে কী কী অগ্রগতি হয়েছে তা জানার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি। বুধবার বিকেল ৪টের সময় তাঁদের রাজভবনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে এনিয়ে একটি টুইট করেন তিনি।
হাঁসখালির ঘটনা প্রসঙ্গে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "হাঁসখালিতে ধর্ষণ বলবেন না কি প্রেম না অন্তঃসত্ত্বা নাকি লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন...আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটি কী? ঘটনাটা অত্যন্ত খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু, শুনেছি ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির নাকি লাভ অ্যাফেয়ার ছিল।" এরপর মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, "মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখে। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে ৫ তারিখে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন? কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কী ভাবে এর তদন্ত করবে পুলিশ?"
আরও পড়ুন- হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করবে সিবিআই, আবারও কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের
মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো ছাড়াও আরও একটি টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। লেখেন, "যাঁরা সাংবিধানিক পদে বসে রয়েছেন তাঁরা যদি এমন মন্তব্য করেন তাহলে হাঁসখালির ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে। সাংবিধানিক পদাধিকারীদের এই ধরনের মন্তব্যের ফলে তদন্ত প্রক্রিয়া সেই পথেই এগোয়। এর ফলে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব হয় না।"
আরও পড়ুন- 'পুলিশ খুব ভাল কাজ করেছে', হাঁসখালিতে পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন
উল্লেখ্য, হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তের ভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নদিয়া হাঁসখালিতে কিশোরার গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মঙ্গলবার শুনানির শেষ আদালত জানিয়েছে এই ঘটনারও তদন্ত করবে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আগামী ২ মে-র মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছিল। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেন, 'এটা ভুলে গেলে চলবে না যে মূল অভিযুক্ত শাসকদলের একজন প্রভাবশালী নেতার ছেলে। কেস ডায়েরিতে স্পষ্ট হয়েছে নাবালিকার পরিবারকে গোটা ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য প্রথম থেকেই হুমকি দেওয়া হয়েছিল।' মামলার সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে।