সংক্ষিপ্ত
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তিন দিন পর বঙ্গপসাগরের উপর থেকে কিছু জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। আর তার জেরেই কিছুটা হলেও বৃষ্টি হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখা মিলছে রোদের। আর বেলা বাড়ার সঙ্গেই সঙ্গেই শুরু হয়ে যাচ্ছে হাঁসফাঁসানি গরম। গরমে যেন প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়। বেলার দিকে বাড়ি থেকে বের হতে গেলেই ভয় করছে। রোদের তেজে পুড়ে যাচ্ছে গা। চৈত্রের এই গরমে কার্যত নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এদিকে আকাশে বৃষ্টির দেখাও পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতির মধ্যেও বৃষ্টি নিয়ে তেমন কোনও স্বস্তির কথা শোনাল না আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তিন দিন পর বঙ্গপসাগরের উপর থেকে কিছু জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে। আর তার জেরেই কিছুটা হলেও বৃষ্টি হবে। তবে সেই বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি হবে না। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলেই জানানো হয়েছে। পয়লা বৈশাখেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই বৃষ্টিতে স্বস্তি কতটা মিলবে তা অবশ্য বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- 'কিছু বলব না, আইন আইনের পথেই চলবে', সিবিআই দফতরে হাজিরা নিয়ে বললেন পার্থ
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া রাজ্যে প্রবেশ করবে। তার জেরে তৈরি হবে মেঘ। আর সেই মেঘের প্রভাবেই বৃষ্টি হবে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি থাকবে না। শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই বৃষ্টির ফলে আবহাওয়ার বিশেষ কোনও পরিবর্তন না হলেও সামান্য গরম কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে পারদ থাকবে ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রির আশপাশে। এই মেঘের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে হালকা বৃষ্টি হবে। আর উত্তরবঙ্গে যেমন মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি নামছে তেমনই থাকবে। বিহারের ওপর একটা ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে এর প্রভাব পড়বে সরাসরি উত্তরবঙ্গে। তাই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হবে। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির আশে পাশে থাকবে। এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে ২৭ ডিগ্রি কাছাকাছি থাকবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতের তাপপ্রবাহের কোনও সম্ভাবনা নেই।
শুষ্ক হাওয়ার কারণে উত্তর-পশ্চিম ভারতে তীব্র গরম আবহাওয়া দেখা দিয়েছে। এবং এপ্রিলে হরিয়ানা, দিল্লি, দক্ষিণ উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায়, রাজস্থানের কিছু অংশে তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশের উপরেও তাপপ্রবাহ চলবে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে সাধারণত এই ধরনের আবহাওয়া দেখতে পাওয়া যায় না। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবেই এই আবহাওয়া তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।