সংক্ষিপ্ত

  •  বিতর্ক ঘিরে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যের পাশে পার্থ
  • এবার শিক্ষামন্ত্রীর এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন রাজ্য়পালর
  •  রাজ্য় উপাচার্যের পদত্যাগ গ্রহণ করবে না বলেছিলেন পার্থ
  • যা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে লক্ষণরেখা মনে করালেন রাজ্য়পাল 
     

গতকাল বসন্ত উৎসবে বিতর্ক ঘিরে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য় সরকার উপাচার্যের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এবার শিক্ষামন্ত্রীকে নিজের এক্তিয়ারে থাকতে বললেন রাজ্য়পাল তথা আচার্য  জগদীপ ধনখড়।  

এদিন রাজ্য়পাল বলেন, নিয়ম অনুসারে কোনও উপাচার্য পদত্যাগ করলে তা আচার্যকে পাঠাতে হয়। সংবাদ মাধ্য়ম থেকে তিনি  জানতে পেরেছেন , রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য়ের পদত্য়াগের কথা। অথচ নিয়ম মেনে রাজভবনে কোনও পদত্য়াগপত্র জমা পড়েনি। উপাচার্যের পদত্যাগ জমা না পরতেই শিক্ষামন্ত্রী বলে দিচ্ছেন, পদত্যাগপত্র  গৃহীত  হবে না। আমার মনে হয় সবার নিজ নিজ এক্তিয়ারের কথা স্মরণ রাখা উচিত। 

এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি রাজ্য়পাল। তাঁর আক্ষেপ, রবীন্দ্রনাথের মতো ব্যক্তিত্বকে নিয়ে বিশ্বের কোনও জায়গায়  এই রকম নক্কারজনক পরিবেশ তৈরি হওয়া উচিত নয়। আজকের প্রজন্ম শিক্ষার আঙিনায়  বিভ্রান্ত হচ্ছে। এদের সঠিক পথ দেখাতে হবে। 

শনিবারই রবীন্দ্রবারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর পাশে দাঁড়ান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয় এটা, আপনি কাজ চালিয়ে যাবেন । আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে না। বৃহস্পতিবার বিটি রোডের ধারে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্তোৎসব অনুষ্ঠানের শেষে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি ছবি। যার একটি ছবিতে ধরা পড়ে, চার শাড়ি পরিহিত তরুণীর উন্মুক্ত পিঠে আবির দিয়ে লেখা অশ্লীল শব্দ। বিতর্কিত ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের লেখা 'চাঁদ উঠেছিল গগনে' গানটির বিকৃত করে প্যারোডির একটি লাইন লেখা ছিল ওই চার তরুণীর পিঠে। 

অপরদিকে, আরেকটি ভাইরাল ছবিতে দেখা গিয়েছে কয়েকজন তরুণ তরুণীকে। মেয়েদের খোলা পিঠে লেখা 'বসন্ত এসে গেছে' আর তাঁদের সামনে দাঁড়ানো ছেলেদের উন্মুক্ত বুকে ওই লাইনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আবির দিয়ে লেখা অশ্রাব্য গালিগালাজ। রবীন্দ্রভারতীর মতো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের উশৃঙ্খলতা বরদাস্ত করেননি নেটিজেনরা। এরপর ছবিগুলি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্য়াল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে।  

ছাত্র ছাত্রীদের এই অশ্লীল ছবি নিয়ে পার্থবাবু বলেন, অপসংস্কৃতির শিকার হচ্ছে বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা। যারা এই কাজ করেছে, তারা জানে ন- তারা বাংলার সংস্কৃতি কতটা পিছিয়ে দিয়েছে । মাথা নত করে দিয়েছে বাংলার সংকৃতির । রবীন্দ্রনাথের নামে নামাঙ্কিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রকম অশ্লীল শব্দ এটা ভাবা যায় না। উপাচার্য মহোদয়কে আমি বলেছি, এটা একটা সামাজিক অবক্ষয় । এতে আপনার কোও দায় নেই।