সংক্ষিপ্ত

কলেজ খোলার ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। ক্যাম্পাস খুললেও এখনই কলেজে আসতে পারবেন না প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা

দীর্ঘ টালাবাহানার পর অবশেষে ১৬ তারিখ থেকে গোটা রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজের দরজা ফের খুলতে চলেছে। এদিকে করোনার(coronavirus) কারণে গত প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই। যদিও সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর(CM mamata banerjee) নতুন ঘোষণার পর স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে তোড়তোড় শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যেই। কোভিড-বিধি মেনে যাতে সমস্ত পঠনপাঠন ফের শুরু করা যায় সেই বিষয়ে সমস্ত স্কুল ও কলেজ গুলিকে শিক্ষা দপ্তরের(education ministry) তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের গাইডলাইন মেনেই এবার কলেজ খোলার ক্ষেত্রে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়(Calcutta University) ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University)

১৬ নভেম্বর থেকে অফলাইন ক্লাস শুরুর বিষয়ে সম্প্রতি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসি মিটিং ডাকা হয় যাদবপুরে। তাতেই নেওয়া হয় নয়া সিদ্ধান্ত। পাপাশাপাশি ক্লাসের পঠনপাঠন, সিলেবাস, পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়েও নতুন খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। কোন পদ্ধিতেত ক্লাস হবে, অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন ক্লাসের সুবিধা নেওয়া হবে কিনা তা ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধানেরা। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুয়ায়ী এখনই প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে আসতে পারবে না।

আরও পড়ুন - আলগা হয়েছে করোনার ফাঁস, বুথ পিছু বাড়ছে ভোটার সংখ্যা

স্নাতকের ক্লাসের ক্ষেত্রে থাকছে বেশ কিছু নতুন নিয়ম। কলা বিভাগে স্নাতকের ক্লাসের ক্ষেত্রে প্রতিটা বিভাগের মধ্যে প্রত্যহ একটি করে শাখা ক্লাস করতে পারবে। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে স্নাতোকত্তোরের ক্ষেত্রে।অন্যদিকে জীবন বিজ্ঞান, জৈব-প্রযুক্তি, ভূগোল ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ক্ষেত্রে নিয়মে খানিক ভিন্নতা রয়েছে। ক্যাম্পাসে ডাকা হবে শুধুমাত্র দ্বিতীয়বর্ষের স্নাতকোত্তরের পড়ুয়াদের। পাশাপাশি কড়াকড়ি থাকছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও। প্রথমবর্ষ ও দ্বিতীয়বর্ষ স্নাতকোত্তরের পড়ুয়ারাই শুধুমাত্র ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন - ম্যানহোল যেন মরণফাঁদ, চোরাই মার্কেটে কেন চাহিদা বাড়ছে ম্যানহোলের ঢাকনার

তবে যাদবপুরের পিএইছডি ও এমফিলের সমস্ত পড়ুয়াই ১৬ তারিখ থেকে ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে কোভিড বিধি পালনে বিশেষ নজর দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই তৈরি হয়েছে বিশেষ আইসোলেশন জোন। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস ও সল্টলেক ক্যাম্পাসের জন্য দুটি করে পর্যবেক্ষণ কক্ষও স্থাপন করা হয়েছে বলে খবর। কড়াকড়ি থাকছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও। কলকাতার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দ্বিতীয় বর্ষের স্নাতকোত্তরের পড়ুয়া ক্যাম্পাসে আসতে পারবে বলে জানা যাচ্ছে। কড়াকড়ি থাকছে বর্ধমান, রবীন্দ্রভারতী, বারাসাতেও। মূল করোনাকালে বাড়তি ভিড় এড়াতেই রোটেশন ভিত্তিক এই পঠনপাঠনের নয়া রীতি চালু করতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।