সংক্ষিপ্ত

যেভাবে দমদম থেকে জোকা পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে, যেভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তার অবস্থানকে মানুষের সামনে স্পষ্ট করেছেন, যেভাবে নজিরবিহীন ভাবে ভোটের দিন দুপুরে জয়েন্ট সিপি বললেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে, তারপর এটাই হওয়ার ছিল। খোঁচা শমীকের

সকাল থেকে ভোটগণনা শুরুতেই ঘাসফুল ঝড়ে কার্যত ধরাশায়ী বিরোধীরা। এমনকী ভোট প্রাপ্তির নিরিখে বিধানসভার নির্বাচনের(Assembly elections) থেকেও পুরভোটে(KMC election results) আরও অবস্থা খারাপ হয়েছে পদ্ম শিবিরের। এমনকী একাধিক কেন্দ্রে বিজেপিকে পিছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা(Trinamool)। তবে এখনও পর্যন্ত ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৪টিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেস(Trinamool-Congress)। অন্যদিকে মাত্র ৫টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। জয় এসেছে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবীর(BJP candidate Meena Devi) হাত ধরে। এদিকে নির্বাচনী ফলাফল সম্পর্কে বলতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল বিজেপি নেতাকে শমীক ভট্টাচার্যকে(BJP leader Shamik Bhattacharya)।

ফল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই পোড় খাওয়া পদ্ম নেতা বলেন, এটাই হওয়ার ছিল। যেভাবে দমদম থেকে জোকা পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে, যেভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তার অবস্থানকে মানুষের সামনে স্পষ্ট করেছেন, যেভাবে নজিরবিহীন ভাবে ভোটের দিন দুপুরে জয়েন্ট সিপি বললেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু সকাল থেকেই সংবাদমাধ্যম দেখাল নির্বাচনের নামে কী চলছে। প্রার্থীরা আক্রান্ত, প্রার্থী প্রহৃত, এজেন্টরা মার খাচ্ছেন, শাসক দলের প্রার্থী বিরোধী এজেন্টকে কলার ধরে বুথের ভিতর থেকে বাইরে বের করে আনছেন, ইভিএম মেশিন মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ভাঙা হয়েছে, কোথাও ব্লক করা হয়েছে, একটি বুথেও কোনও সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘটনা লক্ষ্য করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। যেভাবে ভোট হয়েছে তারপরেও কয়েকটি জায়গায় বিরোধী প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন এটাই অস্বাভাবিক। স্বাভাবিক এটাই তৃণমূল বিরোধী শূন্য করে দেবে। দুতিনটি জায়গায় বিরোধীরা এখনও এগিয়ে রয়েছে এটাই আমার কাছে আশ্চর্যজনক লাগছে।

আরও পড়ুন- গণনা কেন্দ্রের বাইরে কংগ্রেস-তৃণমূল বচসা, ঘাসফুল কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

এখানেই না থেমে শমীক ভট্টাচার্যকে আরও বলতে শোনা যায়, আমাদের মীনাদেবী পুরোহিত ২৫ বছরের কাউন্সিলর। প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র ছিলেন। তাঁর জনসম্পর্ক এবং ওই অঞ্চলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। আটটা বুথ রিগড হয়ে গেল। ওখানে হাওড়ার লোকজন কলকাতার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে নদী পেরিয়ে চলে এসেছিল। একটি জায়গায় দেখা গিয়েছে ইভিএম মাটিতে পড়ে রয়েছে, বুথের মধ্যে কোনও চেয়ার অবশিষ্ট নেই। সমস্ত সংবাদমাধ্যম সেটা দেখাল। তারপরেও নির্বাচন কমিশন বলছে কোনও বুথে নাকি কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেনি। সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে কোনও বিরোধী প্রার্থী যদি এগিয়ে থাকেন তা তিনি যে দলেরই হন, সেটা আশ্চর্যজনক এবং একইসাথে অস্বাভাবিক ঘটনা। তৃণমূল সব জায়াগায় এগিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।তবে শমীকের বক্তব্যের পাল্টা কোনও বিবৃতি এখনও পর্যন্ত শাসকদলের নেতাদের দিতে দেখা যায়নি।