সংক্ষিপ্ত
গণনা শেষ হওয়ার আগেই মমতার বাড়ির সামনে কাজরী বন্দ্য়োপাধ্যায়কে পুরপ্রতিনিধি বলে হোর্ডিং টানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষণার আগেই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী বলে হোর্ডিং পড়ে গিয়েছে ।
গণনা শেষ হওয়ার আগেই মমতার বাড়ির সামনে কাজরী বন্দ্য়োপাধ্যায়কে (TMC Candidate Kajori Banerjee) পুরপ্রতিনিধি বলে হোর্ডিং টানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, হিমেল হাওয়ার মাঝেই মঙ্গলবার ভোট গণনা সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম থেকেই লাফিয়ে বাড়ছে তৃণমূলের আসনের সংখ্যা। তবে এখনও নির্বাচন কমিশন (WB Election Commission) ঘোষণার আগেই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী বলে হোর্ডিং পড়ে গিয়েছে শহর কলকাতায় (Kolkata)।
গণনা শেষ হওয়ার আগেই হোর্ডিং লাগানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাড়ির সামনেই। আর সেই হোর্ডিংয়ে স্পষ্ট লেখা 'তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী দিদির আর্শীবাদ ধন্য়া কাজরী বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ৭৩ নং ব্লকের সকল অধিবাসীবৃন্দকে জানাই প্রণাম, শুভেচ্ছা এবং অসংখ্য ধন্যবাদ।' কাজরী হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের স্ত্রী। উল্লেখ্য, এই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের টিকিটে তিন বার জিতেছেন রতন মালাকার। কিন্তু এবার রতন মালাকারকে টিকিট না দিয়ে কাজরীকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোট হওয়ার দোরগড়ায় কাজরী বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়া হলফনামায় প্রায় ৪ কোটি টাকার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির কথা জানানো হয়েছে। আর এখান থেকেই তোপের মুখোমুখি কাজরী। তারঁ বিরুদ্ধে মামলা করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, নিজেকে সমাজসেবী বলে পরিচয় দেওয়া 'কাজরী বন্দ্য়োপাধ্যায় কীভাবে কয়েককোটি টাকার মালিক হলেন'।
এদিন সকাল ৮ টায় ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ভোট গণনার শুরু হওয়ার পর সকাল দশটা পেরোতেই কলকাতার একাধিক ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই জয় এসেছে তৃণমূলের। সংখ্যাটা ১৪৪ ওয়ার্ড ছাড়িয়েছে। তারপরেই শুরু হয়েছে জোর আবির খেলা। সুবজ আবিরে ঢেকেছে রাস্তা। তবে বিজেপি-বামেদের লড়াইও জারি রয়েছে। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মতো চাপ এই মুহূর্তে আর নেই ঘাসফুল শিবিরের, দাবি রাজনৈতিক মহলের। প্রথমত চলতি বছরের ভাগ্য নির্ধারনের নির্বাচনই ছিল বিধানসভা ভোট। সেই একুশের বিধানসভা ভোটের বড় সংখ্যার তফাতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। যার প্রভাব পড়েছে উপনির্বাচন তথা কলকাতা পুরভোটেও। একদিকে যেমন একুশের বিধানসভা ভোটে ৮ দফা নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল তৃণমূলের। তেমনই কলকাতা পুরভোটের দিনেই কেন হল বকেয়া পৌরসভা ভোট গুলিও, এনিয়ে হন্য়ে বিজেপ। কারণ তাঁদের দাবি, একেক টা বোটের ফলাফল পরে ভোটগুলিতে প্রভাব ফেলবে। একথা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, তৃণমূলের এক একটা জয়, মূলত আরও জটিল পরিস্থিতিতে নিয়ে যাচ্ছে বিরোধীদেরকে।