- বিতর্কিত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
- সাংবাদিকদের কুরচিকর আক্রমণ সাংসদের
- প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় সাংবাদিক সহ সব মহলে
- সাংসদকে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য বিভিন্ন মহলে
সংবাদ মাধ্যমকে 'দু পয়সার প্রেস' বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যার জেরে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন সাংবাদিকরা। প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে সমাজের বিশিষ্টরা। রবিবার গয়েশপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে ভিতরে প্রেসের প্রবেশ নিয়ে দলীয় কর্মীদের ধমক দেন তৃণমূল সাংসদ। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘কে এই দু’পয়সার প্রেসকে ভেতরে ডাকে? সরাও প্রেসকে এখান থেকে। কেন দলের মিটিংয়ে প্রেস ডাকো তোমরা? কর্মি বৈঠক হচ্ছে আর সবাই টিভি–তে মুখ দেখাতে ব্যস্ত। আমি দলের সভানেত্রী আমি আপনাদের নির্দেশ দিচ্ছি প্রেসকে সরান।’
সাংসদ মহুয়া মৈত্রের এই ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তের মধ্যে। ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক সংবাদ মাধ্যম বয়কট করেছে তৃণমূল সাংসদকে। বিবৃতি জারি করে প্রেস ক্লাবের তরফে বলা হয়েছে, "কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের সম্বন্ধে যে মন্তব্য করেছেন তাতে প্রেস ক্লাব কলকাতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং তীব্র প্রতিবাদ করছে। তাঁর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে অনভিপ্রেত ও অপমানজনক। আশা করি সাংসদ তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করে দুঃখপ্রকাশ করবেন।" এরপর ফের মহুয়া ট্যুইট করেন, "আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করে সময় নষ্ট করার আগে, প্রেসক্লাবের উচিত তাদের সদস্যরা কতটা নিম্নমানের সেটা দেখার।' যার ফলে বিতর্ক আরও আরও দানা বেঁধেছে। মুখ খুলেছেন বিদ্বজনেরা। প্রয়োজনে নেওয়া হতে পারে আইনি পদক্ষেপও।
সাংবাদিকদের '২ পয়সার' বলে আক্রমণ করা সাংসদের ব্যক্তিগত আয় ও তার উৎস নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠছে নানা বিতর্ক। সাংসদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে নানা মহলে উঠছে নানা কথা। সাংসদ হওয়ার আগে ২০১৬ সালে নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িক নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য নিজের যে সম্পত্তির হিসাব দিয়েছিলেন তা থেকে জানা গিয়েছিল, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে মহুয়া মৈত্রের মোট ২.৬৪ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। নির্বাচন কমিশনে মহুয়া মৈত্র জানিয়েছিলেন, তার ১.৪৩ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ডিপোসিট রয়েছে। হাতে নগদ রয়েছে ৫ হাজার। ভারতের বাইরে লন্ডনে ১.৩০ ল ক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক ডিপোজিট রয়েছে। এছাড়া ৩.২ ক্যারেট হিরের আংটি যার বাজার মূল্য ৭০ লক্ষ কাটা, ১৫০ গ্রাম সোনা যার মূল্য ৫ লক্ষ টাকা, রুপার গহনা-আসবাব পুত্র রয়েছে ৫.৬৮ হাজার টাকার, আর্ট পিসেস রয়েছে ২৫ লক্ষ টাকার। বর্তমানে সেই সম্পত্তির পরিমাণ আরও বেড়েছে বলেই মত সকলের।
২০০৮ সালে কংগ্রেসের হয়ে নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। পরে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০১৬ সলে বিধায়ক ও ২০১৯ সালে নির্বাচিত হন সাংসদ। বর্তমানে রাজ্যের শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ নৈত্রী তিনি। কিন্তু এহেন ব্যক্তিত্বের মুখে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সম্পর্কে এমন কুরুচিকর মন্তব্য মোটেই কাম্য নয়। বলার পর দুঃখ প্রকাশ না করে পাল্টা যে ঔদ্ধত্য দখিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তৈা সত্যিই নিন্দার। এশিয়ানেট নিউজ বাংলাও মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য়ের নিন্দা করে। মাননীয়া সাংসদের মনে রাখা উচিৎ তার বক্তব্যে সাংবাদিকদের কলমের জোর কোনও দিনও কমবে না, তা আরও ক্ষুরধার হবে।
Read Exclusive COVID-19 Coronavirus News updates, from West Bengal, India and World at Asianet News Bangla.
খেলুন দ্য ভার্চুয়াল বোট রোসিং গেম এবং চ্যালেঞ্জ করুন নিজেকে। கிளிக் செய்து விளையாடுங்கள்
Last Updated Dec 10, 2020, 9:08 PM IST