সংক্ষিপ্ত
সংক্রমণের মাত্রা কমতেই দীর্ঘ ৬১ দিন পর ফের পরিষেবা দেওয়া শুরু করল কলকাতা মেট্রো। এদিকে কোভিড বিধি শিকেয় তুলে মেট্রোর যাত্রীরা বসল 'ক্রস' দেওয়া সিটেও।
দীর্ঘ ৬১ দিন পর ফের পরিষেবা দেওয়া শুরু করল কলকাতা মেট্রো। উল্লেখ্য, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আক্রান্ত হয়েছিল চালক সহ অনেক রেল স্টাফ। তারপরেই কার্যত লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে যায় কলকাতা মেট্রো। তবে জুলাই মাসে অনেকটাই কমে এসেছে সংক্রমণের মাত্রা। তাই ফের শুক্রবার চালু হল কলকাতা মেট্রো পরিষেবা।
শুক্রবার থেকে ফের চালু হল মেট্রো পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য ।এতদিন পর্যন্ত স্টাফেদের জন্য শুধুমাত্র মেট্রো পরিষেবা চালু ছিল এদিন কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত চলাচল শুরু হল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে। কিন্তু কোভিডের নিয়মাবলীকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে মানুষ প্রথম দিনেই যাত্রা শুরু করলো। কোভিড পরিস্থিতিতে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি ।তবে চড়তে পারবেন মেট্রো রেলে। তবে একগুচ্ছ শর্তের ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হল সাধারণের জন্য মেট্রো পরিষেবা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি মেট্রোতে যে সমস্ত সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াত করছেন তাদের মুখেই শোনা গেল একেবারেই মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব ।একেবারেই অন্য দৃশ্য । যেখানে চারজন করে বসার কথা উল্লেখ রয়েছে সেখানে সাতজন করে বসা রয়েছে। মানা হচ্ছে না কোনও সামাজিক দূরত্ব।
তবে সাধারণ মানুষের বক্তব্য মেট্রো চালু হতে অনেকটা সুবিধা হয়েছে। তার কারণ লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে অনেকটাই অসুবিধা হচ্ছিল যাতায়াত করতে। কিন্তু মেট্রো পরিষেবা চালু হতে কম সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যাবে। তাছাড়া শনি ও রবিবার রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা ।কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শনিবার তারা স্টাফ স্পেশাল মেট্রো চালাবে। ১৫ ই মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত স্পেশাল ট্রেন চলছিল ।সাধারণের জন্য মেট্রো চালু করা হয়েছে। প্রতিটা কামরায় একটা সিট অন্তর অন্তর ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়েছে । এই রকম ৬০০ জন যাত্রীর আসন নির্ধারণ করা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনে দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন যাত্রীরা। তবে লোকাল ট্রেন না চালায় কম যাত্রী হবে বলে মনে করছে মেট্রোরেল । কিন্তু যাত্রীদের মুখে শোনা গেল একেবারে অন্য গল্প। সাধারণ মানুষ কোভিড বিধি মেনে যাতায়াত করছেন কিনা, সেদিকে কতটা লক্ষ্য রাখছে মেট্রো রেল, এবিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।