সংক্ষিপ্ত


গালওয়ানের বুকে নতুন করে কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি, চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার শান্তি বিরতির চুক্তিও লঙ্ঘন হয়নি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল ভারতীয় সেনা। আর সেই সঙ্গে ভারত-চিন ফের সংঘর্ষ নিয়ে প্রকাশিত মিডিয়া রিপোর্ট-কেও অযৌক্তিক বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

গালওয়ানের বুকে নতুন করে কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার যে শান্তি বিরতির চুক্তি হয়েছিল তার এখনও লঙ্ঘন হয়নি। পরিষ্কার ভাষায় এই কথা জানিয়ে দিল ভারতীয় সেনা। আর সেই সঙ্গে ভারত-চিন ফের সংঘর্ষ নিয়ে প্রকাশিত মিডিয়া রিপোর্ট-কেও অযৌক্তিক বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই মর্মে একটি নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে চিঠিও দিয়েছে ভারতীয় সেনা। 

আরও পড়ুন, বাদল অধিবেশনের আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদী, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা

 

 

প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি করে যে গালওয়ানে ফের নতুন করে ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এই গালওয়ানেই এক বছর আগে ভারতীয় সেনা ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে মারদাঙ্গায় বেশকিছু হতাহতের ঘটনা ঘটে। ভারতের ১৫ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। ভারতীয় সেনা জানিয়েছিল, চিনের জোর করে ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা তারা নসাৎ করে দিয়েছে এবং সংঘর্ষে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি-র অসংখ্য জওয়ান নিহত হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে এই হতাহতের সংখ্যা স্বীকার করেনি চিন। কিন্তু তাদের সরকারি গণমাধ্যম গ্লোবাল মিডিয়ার রিপোর্টে পরে পিএলএ-র জওয়ানদের নিহতের সংখ্যার ছবিটা সামনে এসেছিল। ভারতীয় সেনা পিএলএ-র জওয়ানদের মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে যা বলেছিল গ্লোবাল মিডিয়ার রিপোর্টে সেই সংখ্যাই তুলে ধরা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন, 'থার্ড ওয়েভ এলে কী করব, ভ্যাকসিনই তো নেই', টিকা চেয়ে মোদীকে চিঠি মমতার

গালওয়ানের পর ভারতীয় সেনা ও চিনা সেনাদের মধ্যে আরও বেশকিছু সংঘর্ষ হয়। শেষমেশ এক শান্তি চুক্তির মধ্যে দিয়ে দুই দেশ একটি সমঝোতায় পৌঁছায়। কিন্তু বিজনেস স্ট্যান্ডার্টের রিপোর্টে নতুন করে সংঘর্ষের দাবি করা হতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। এই রিপোর্টে দাবি করা হয় যে চিনা সেনারা ফের পিপি১৪-এর কাছে নতুন করে টেন্ট তৈরি করেছে। এই এলাকাটি গালওয়ান নদীর কাছে। এই এলাকাকে দুই দেশ-ই বাফার জোন বলে মেনে নিয়েছিল। এমনকী ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি মেনে এই বাফার জোনে তাদের সমস্ত ঘাঁটি ভেঙে ফেলেছিল চিন। বিজনেস স্ট্যান্ডার্টের রিপোর্টে এমনও দাবি করা হয়েছিল যে চিন নতুন করে এই বাফার জোনে দখলদারি শুরু করেছে। যার জেরে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে। 

আরও পড়ুন, 'পাকিস্তানি বলেই কি এমন আচরণ', চরম ভোগান্তির পর স্বাস্থ্য ভবনের হস্তক্ষেপে টিকা পেলেন শাহার

এই মিডিয়া রিপোর্ট সামনে আসতেই কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভারতীয় সেনা। এই রিপোর্টকে তারা ভিত্তিহীন বলে দাবি করার সঙ্গে সঙ্গে বিজনেস স্ট্যান্ডার্টের এডিটর শ্যামল মজুমদার-কে একটি চিঠিও দিয়েছে। সেই চিঠির একটি প্রতিলিপি সেনাবাহিনী সূত্রে এশিয়ানেট নিউজের হাতেও এসেছে। 

আরও পড়ুন, সীমান্ত দখলের নয়া ছক, লাদাখ-সিকিম সীমান্তে তৈরি হচ্ছে চিনা ক্যাম্প, উদ্বেগে ভারত

ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের এই চিঠিতে পরিষ্কার জানিয়েছে, পুরো রিপোর্টটি ভুল তথ্য এবং ভ্রান্তিতে ভরা। এবং সেই সঙ্গে সাফ জানানো হয়েছে যে চিনের সঙ্গে শান্তি বিরতির যে চুক্তি হয়েছে তাতে কোনও বাধা আসেনি এবং তা ভেঙেও যায়নি। দুই দেশই সেই চুক্তির পালন করছে। 

আরও পড়ুন, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পথে ISRO'র আরও এক সাফল্য, বড় বদল ঘটছে GSLV রকেটে

এই চিঠিতে এটাও দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-তে যে শান্তি চুক্তি হয়েছিল তারপর থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কোনও এলাকা দখলের ঘটনা ঘটেনি। যদিও, ভারতীয় সেনার এই জবাবের প্রেক্ষিতে বিজনেস স্ট্যান্ডার্টের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।