সংক্ষিপ্ত
সোমবার থেকে ফের বাড়ছে স্টাফ স্পেশাল মেট্রোর সংখ্যা। এই মুহূর্তে আপ ও ডাউন মিলিয়ে দিনে মোট ৯০টি ট্রেন চলে। কিন্তু, সোমবার থেকে তা বাড়িয়ে ১০৪ করা হচ্ছে।
করোনার ভয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে কলকাতা। সোমবার থেকে ফের বাড়ছে স্টাফ স্পেশাল মেট্রোর সংখ্যা। এই মুহূর্তে আপ ও ডাউন মিলিয়ে দিনে মোট ৯০টি ট্রেন চলে। কিন্তু, সোমবার থেকে তা বাড়িয়ে ১০৪ করা হচ্ছে। ট্রেনের মধ্যে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রতিবাদ TMC-র, কোথাও বাইক জ্বালিয়ে-কোথাও গরুর গাড়ি চালিয়ে
সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেট্রোর সময় পরিবর্তন হচ্ছে বলেও মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭টায়। সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৮ মিনিট অন্তর চলবে মেট্রো। সাড়ে ১১টা থেকে ৩টে ৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পরিষেবা। এরপর ৩টে ৩০ মিনিট থেকে ফের শুরু হবে পরিষেবা। সোমবার থেকে প্রান্তিক স্টেশনে শেষ মেট্রো ছাড়বে সন্ধে ৭টা ৩০ মিনিটে। বর্তমানে ওই দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে শেষ মেট্রো ছাড়ে ৭টায়।
আরও পড়ুন- প্রতারণার নতুন ফাঁদ, কেমিকেল ঢাললেই নাকি দ্বিগুণ হচ্ছে টাকা
প্রথমে মাত্র ৪০টি মেট্রো চলছিল। জুনের শেষের দিতে তা বাড়িয়ে ৬২ করা হয়। এরপর গত সপ্তাহেও স্টাফ স্পেশাল মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গত সোমবার থেকে ৬২ থেকে বেড়ে ৯০টি মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারপর এক সপ্তাহের মধ্যে ফের বাড়ানো হল মেট্রোর সংখ্যা।
রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে। তবে রাজ্যে জারি রয়েছে বিধিনিষেধ। ১৬ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায়। ছাড় দেওয়া হয়েছে বাস, অটো ও টোটো চলাচলের উপর। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত লোকাল ট্রেন ও মেট্রো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এদিকে রেলের নিজস্ব কর্মী, ব্যাঙ্ক কর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য ট্রেন ও মেট্রো চালানো হচ্ছে। আর সেখানে যাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকায় সংক্রমণের আশঙ্কায় মেট্রোর সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো রেল।
আরও পড়ুন- নদী থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ কর্মসূচি গোসাবায়, উদ্ধার ১০০ কেজি প্লাস্টিক
মেট্রোর তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পশু চিকিৎসা, আইন-শৃঙ্খলা, আদালত, সরকারি-বেসরকারি হোম, পুলিশ, ব্যাঙ্ক, সংশোধনাগার, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, টেলিকম, ইন্টারনেট, দমকল, নিকাশী, বিপর্যয় মোকাবিলা, সামাজিক সুরক্ষা, সাফাই, খাদ্য ও পানীয়, বিমা, সংবাদমাধ্যম এবং শেষকৃত্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সব কর্মীরাই এই ট্রেনে চাপতে পারবেন। তবে সঙ্গে পরিচয়পত্র রাখতে হবে। টোকেন নয়, স্মার্টকার্ড ব্যবহার করে মেট্রোয় উঠতে পারবেন। এছাড়া, ট্রেনের মধ্যে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তার সঙ্গে করোনাবিধিও মেনে চলতে হবে যাত্রীদের।