সংক্ষিপ্ত
পরিবেশবিদদের দাবি সোমবার কালীপুজোর দিন সিতরাং-এর জেরে ঝড় বৃষ্টি হওয়ায় দূষণের মাত্রা এক ধাক্কায় নেমেছিল বেশ অনেকটা। কিন্তু মঙ্গলবার ফের দেদার বাজি ফাটানো হয় শহর জুড়ে, যার জেরে গোটা কলকাতায় বাড়ল বায়ুদূষণের মাত্রা।
তিলোত্তমার জন্য সিতরাং একপ্রকার আশির্বাদ হয়ে এলেও তার প্রভাব বেশিক্ষণ থাকেনি। কালীপুজোর দিন সিতরাং-এর প্রভাবে শহরে রেকর্ড কমেছিল দূষণের মাত্রা। কিছু মঙ্গলবার তা পুষিয়ে দিয়ে এক ধাক্কায় দূষণের মাত্রা বাড়ল প্রায় ২৫ শতাংশ। পরিবেশবিদদের দাবি সোমবার কালীপুজোর দিন সিতরাং-এর জেরে ঝড় বৃষ্টি হওয়ায় দূষণের মাত্রা এক ধাক্কায় নেমেছিল বেশ অনেকটা। কিন্তু মঙ্গলবার ফের দেদার বাজি ফাটানো হয় শহর জুড়ে, যার জেরে গোটা কলকাতায় বাড়ল বায়ুদূষণের মাত্রা।
কালীপুজো মানেই শহরে বাড়বে দূষণের মাত্রা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের জেরে এবছর ছবিটা একটু অন্যরকম ছিল। এক ধাক্কায় শহরে দূষণের মাত্রা নামল 'সবুজ' সীমা পর্যন্ত। কিন্তু আবহাওয়া ঠিক হতেই ফের বিপত্তি। একধাক্কায় ২৫ শতাংশ বাড়ল দূষণের মাত্রা।
উল্লেখ্য, এক পরিবেশবিদের দাবি, সবুজ বাজি অর্থাৎ যে সমস্ত বাজির শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেলের মধ্যে থাকে কেবল সেই বাজিতেই ছাড় দিয়েছে সরকার। কিন্তু সবুজবাজি বলে যে বাজিগুলি বাজারে বিক্রি হচ্ছে তার বেশিরভাগেরই শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেলের বেশি। তাছাড়া শব্দবাজি ছাড়া আতশবাজিতেও ছড়ায় দূষণ।
এবছর কালীপুজোয় রাতে ফোর্ট উইলিয়াম এলাকায় বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৪৯ মাইক্রোগ্রাম। বালিগঞ্জে প্রতি ঘনমিটারে ৩৯ মাইক্রোগ্রাম। রবীন্দ্র সরোবরে প্রতি ঘনমিটারে ৪৩ মাইক্রোগ্রাম। যাদবপুরে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৪৪ মাইক্রোগ্রাম।
প্রসঙ্গত, দীপাবলির আগেই শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে উৎসবের দিন বাজি পোড়ানো সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী দীপাবলিতে রাত আটটা ১০টা পর্যন্তই পোড়ানো যাবে আতশবাজি। শুধু তাই নয় কেবলমাত্র কিউআর কোড যুক্ত আতসবাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
শুধু দীপাবলি নয়, আসন্ন ছট পুজো থেকে বড়দিন সমস্ত উৎসবেই মানতে হবে এই নির্দেশিকা। উৎসবের মরশুমে যাতে কোনওভাবেই দূষণ না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতেই এই বছর কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
ছট পুজোর দিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে আতশবাজি। তবে সেই বাজি অবশ্যই পরিবেশ বান্ধব হতে হবে। আসন্ন ২৫ ডিসেম্বর ও নিউ ইয়ারে রাত ১১টা৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আতশবাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই নির্দেশ না মানা হলে তা আইনত অপরাধ হিসেবেই দেখা হবে এবং তা ফৌজদারি অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন -
বাড়ির কালীপুজোয় আটপৌরে শাড়ি পরে ভোগ রান্নায় ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মধ্যরাতে বাংলার উপকূল পার হবে সিতরাং,রীতিমত গতি বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়