সংক্ষিপ্ত
নতুন বছরের প্রথম থেকেই কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করার প্রস্তুতিত নিতে শুরু করেছেল কলকাতা পুরসভা। কেন্দ্রীয় সরকারের ইতিমধ্যেই ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণে ছাড়পত্র দিয়েছে।
দেশের সঙ্গা পাল্লা দিয়ে রাজ্যেও বাড়ছে করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা। যা ইতিমধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকারের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কলকাতার স্কুলগুলিতে আগামী ৩ জানুয়ারি টিকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Frihad Hakim)। তিনি বলেছেন রাজ্যের স্কুলগুলিতে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হবে আগামী ৩ জানুয়ারি থাকে।
নতুন বছরের প্রথম থেকেই কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করার প্রস্তুতিত নিতে শুরু করেছেল কলকাতা পুরসভা। কেন্দ্রীয় সরকারের ইতিমধ্যেই ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণে ছাড়পত্র দিয়েছে। সেইমতই আগামী বছরের প্রথম থেকেই টিকাদেওয়া হয়েছে টিনএজারদের। কলকাতার পুরসভার বিভিন্ন বোরের নানা স্কুলে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেইমত স্কুলগুলির পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি চিকিৎসকও রাখা হবে স্কুলগুলিতে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলেও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারি স্কুলে সরকারি চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হবে। তবে বেসরকারি স্কুলগুলিতেও যাতে চিকিৎসকের উপস্থিতিতে টিকাকর্মসূচি চালান হয়ে তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতায় ২৭টি সেন্টার ও স্কুলে ১৫-১৮ বছর বয়সীদে কোভিড টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি আরও বলেন প্রতিদিন ১৬টি বোরোর ১৬টি স্কুলে যাতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা তৈরি করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ওমিক্রন আতঙ্ক এরাজ্যেও ক্রমশই দানা বাঁধছে এই অবস্থায় কলকাতার পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের বাসিন্দাদের নতুন বছরের অনুষ্ঠান উদযাপনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিধি মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভিড় এগিয়ে যাওয়া উচিৎ প্রত্যেক মানুষের। বাইরে থেকে আসা নাগরিকদের ৭ দিন ঘরবন্দি বা আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই রাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংথ্যা ১১, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজারেও বেশি মানুষ। এই অবস্থায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা ববন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সংক্রমণে লাগাম পরারে আবারও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে স্কুল কলেজ। কমানো হতে পারে লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও। আগেই মমতা জানিয়েছিলেন প্রয়োজনে কড়া হতে পারে কোভিড বিধি।