সংক্ষিপ্ত

  • দ্রুত শুনানি চাইতে গেলে পাল্টা বিচারপতিদের প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হলেন রাজীব কুমারের কৌসূলী।  
  • কেন দ্রুত মামলার শুনানি চাইছেন, তা জিজ্ঞাসা করলেন খোদ বিচারপতি।
  • বুধবার রাজীব কুমারের আগাম জামিন মামলার শুনানি 

দ্রুত শুনানি চাইতে গেলে পাল্টা বিচারপতিদের প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হলেন রাজীব কুমারের কৌসূলী।  কেন দ্রুত মামলার শুনানি চাইছেন, তা জিজ্ঞাসা করলেন খোদ বিচারপতি। বুধবার দুপুর আড়াইটেয় রাজীব কুমারের আগাম জামিন মামলার শুনানি রয়েছে বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সি ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে। 

দ্রুত মামলা শুনুক আদালত, মঙ্গলবার এমনই আবেদন নিয়ে বিচারপতিদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজীব কুমারের আইনজীবী। কিন্তু তাতে প্রথমেই বাগড়া দেন বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সি। বিচারপতি  প্রশ্ন তোলেন এত তাড়াহুড়োর কী আছে? একই সুর শোনা যায় অপর বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তর গলায়। তিনি বলেন, তাহলে রাজীব কুমারকে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলুন। স্বাভাবিকভাবেই মঙ্গলবার রাজীব কুমারের মামলার শুনানি হয়নি।  

আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত গত শনিবার রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধান রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। সোমবার গ্রেফতারি এড়াতে স্ত্রী সঞ্চিতা কুমার মারফত কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান রাজীব কুমার। এদিন মামলাটি শুনানির কথা থাকলেও হয়নি। রাজীবের আইনজীবী দেবাশিস রায় ডিভিশন বেঞ্চে বলেন, সিবিআই রাজীব কুমারের পেছনে পড়ে রয়েছে। তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাই আগাম জামিনের দ্রুত শুনানি করুক আদালত। তখন বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সি প্রশ্ন তোলেন,এত তাড়াহুড়োর কী আছে? উত্তরে রাজীবের আইনজীবী বলেন, আগামীকাল আমার মক্কেলের ছুটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তখন ডিভিশন বেঞ্চের অপর বিচারপতি শুভশিস দাশগুপ্ত বলেন, রাজীব কুমারকে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলুন। 

সারদা মামলায় সিবিআই একাধিকবার নোটিশ দিয়ে বিধাননগর ও কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে ডেকে পাঠিয়েছে। বার বার তলব করা  সত্ত্বেও হাজিরা দেননি কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার। উলটে সিবিআই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করেই এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। সেই মামলায় বিচারপতি  মধুমতী মিত্র রাজীবের আবেদন খারিজ করে দেন। পাশাপাশি সিবিআইকে জানিয়ে দেন, আইন মেনে রাজীবকে গ্রেফতার করতে চাইলে সিবিআই তা করতে পারে। এরপর থেকেই গ্রেফতারি এড়াতে নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন রাজীব। তাঁর বিরুদ্ধে সারদা মামলায় নথি লোপাটের অভিযোগ এনেছে সিবিআই।