সংক্ষিপ্ত
- যাদবপুরকাণ্ডে বাবুল সুপ্রিয়র পাশে দাঁড়াননি।
- ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছিলেন।
- এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের শিকার হলেন বাচিক শিল্পী ঊর্মিমালা বসু।
- বাচিক শিল্পীকে ট্রোলের ঘোর বিরোধিতা করেছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ।
যাদবপুরকাণ্ডে বাবুল সুপ্রিয়র পাশে দাঁড়াননি। উল্টে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছিলেন। যার জেরে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের শিকার হলেন বাচিক শিল্পী ঊর্মিমালা বসু। যদিও বাচিক শিল্পীকে ট্রোলের ঘোর বিরোধিতা করেছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ।
যাদবপুরকাণ্ডে এ বার বাবুল বিরোধিতায় নেমে ট্রোলের শিকার হলেন বাচিকশিল্পী ঊর্মিমালা বসু। যদিও শিল্পীকে ট্রোল করার জন্য উল্টে নিজের সমর্থকদেরই একহাত নিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ। টুইটারে তিনি লেখেন,এই ধরনের ট্রোলের তীব্র নিন্দা করিছ। আমি বহুদিন ধরে ওনাকে ব্য়ক্তিগতভাবে চিনি। তাই ওনার সম্পর্কে এই ধরনের ট্রোল কোনওভাবেই সমর্থন করি না।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হুলুস্থুলু কাণ্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন বাচিক শিল্পী ঊর্মিমালা বসু। ঘটনার জন্য বাবুলকেই ছাত্রদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। যার জেরে সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই শিল্পীকে নিয়ে মারাত্মক ট্রোল শুরু হয়। তবে এই ট্রোলকে সমর্থন না করলেও ইতিমধ্য়েই ওই শিল্পীকে টুইটারে জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী। টুইটারে বাবুল লিখেছেন, 'প্রিয় ঊর্মিমালাদি, আপনাকে ও জগন্নাথদাকে অনেকদিন থেকে চিনি, তাই ছোট্ট করে লিখছি। আপনি ধর্মান্ধ - আপনার ধর্ম 'বাম-বাদ' নো প্রব্লেম, কিন্তু আপনি তো জন্মান্ধ নন! তাহলে সত্যি তা কেন দেখতে পান না, দেখতে চান না বলে কি? 'খুব জানতে'ইচ্ছে করে'!'
এবিভিপির নবীন বরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। প্রথম থেকেই বাবুলকে বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ঢুকতে বাধা দেয় বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। অভিযোগ, গো-ব্যাক স্লোগানের মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ধাক্কা মারে ছাত্ররা। এমনকী তাঁর চুল ধরেও টানা হয়। এরপরই ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল ভবনে ফোন করেন বাবুল। পরে খোঁজ নিয়ে বিকেল ৪টে ১৫ তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে ফোন করেন রাজ্যপাল। দ্রুত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্থার রিপোর্ট চেয়ে পাঠান তিনি। ক্য়াম্পাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেনস্থার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পরে বাবুলকে উদ্ধার করতে নিজেই ক্যাম্পাসে যান রাজ্যপাল। পরে যাদবপুরকাণ্ডে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে থানায় অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।