সংক্ষিপ্ত
২০১৯ ও ২০২১ সালের নীতি আয়োগের বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখোমুখি এই বৈঠকে যোগ দেবেন বলেই রাজনৈতিক সূত্রের খবর।
ভারতের কেন্দ্র সরকার ও বঙ্গ সরকারের মধ্যে সম্পর্কের দোটানা এবং দেশ জুড়ে জিএসটি ঘিরে তৈরি হওয়া অসন্তোষের মধ্যেই আসন্ন আগস্ট মাসের ৭ তারিখ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের ওই বৈঠকে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে তিক্ততা থাকার দরুন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে বঙ্গবাসীর মনে ছিল সংশয়।
কারণ ২০২১ সালের ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরত থেকেছিলেন। তার আগে ২০১৯ সালে শেষ বার মুখোমুখি বসে হওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকও এড়িয়েই গিয়েছিলেন মমতা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি ছিল, নীতি আয়োগের এই বৈঠকে কাজের কাজ কিছু হয় না।
সরকারি সূত্রের খবর, দেশের কোভিড পরিস্থিতি আরও খারাপ না হলে, ২০২২ সালের নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজন না করে সামনাসামনি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই পরিকল্পনা সত্যি হলে ২০১৯ সালের ২ বছর পর এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের মুখোমুখি বৈঠক হবে। রাজনৈতিক সূত্রের সম্ভাবনা অনুযায়ী খবর পাওয়া গিয়েছে যে, টানাপড়েন সরিয়ে রেখেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এই বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, ২০২২-এ প্রধানমন্ত্রী নীতি আয়োগের আলোচনায় মূলত অর্থনীতির ওপর জোর দিতে পারেন। ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্যগুলির সহযোগিতা প্রয়োজন হতে পারে। তা ছাড়াও, রাজ্যগুলির শক্তি ও দুর্বলতার জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করা, পিএম গতিশক্তি প্রকল্পে নজরদারি, জাতীয় শিক্ষা নীতির বাস্তবায়ন, নাগরিকদের জীবনযাপন ও ব্যবসার বাতাবরণ সহজ করতে উন্নয়নশীল পদক্ষেপের উপরে জোর দিতে পারেন বলেও সরকারি কর্তাদের ধারণা। এর আগে বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে থেকে অনেকবারই অভিযোগ উঠেছে যে, এই ধরনের বৈঠকগুলিতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকেই অধিকতর সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়। এই বছরেও একই অভিযোগ পুনরায় উঠবে কিনা, তা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ প্রকাশ করছে কেন্দ্রের বিরোধী মহল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর বক্তব্য বা চাহিদাগুলিকে কতটা যুক্তিযুক্ত মনে করেন, সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।
আরও পড়ুন-
'মমতা ভয় পেয়েছেন', নজরুল মঞ্চে তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যের পাল্টা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী
কুমার শানু থেকে ঋতুপর্ণা, ২০২২-এ বঙ্গভূষণ সম্মানের তালিকায় কারা?
তৃণমূলের সবাই চোর, বামপন্থী সংগঠনের মিছিলে প্রকাশ্যে জোরালো স্লোগান