সংক্ষিপ্ত
- একুশের মঞ্চেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলের রদবদলের
- প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনদের সামনে আনলেন মমতা
- দলের রদবদল করে খোলনলচে বদলে দিলেন তিনি
- কারা কারা নতুন করে দায়িত্ব পেল তৃণমূলে
একুশের মঞ্চেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলের রদবদলের। দলের ভার্চুয়াল সভায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী দিনে প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনদের সামনে আনতে চান তৃণমূল নেত্রী। সেই জল্পনাই সত্য়ি হল। দলের রদবদল করে খোল নলচে বদলে দিলেন মমতা।
জেলা সভাপতি ও পর্যবেক্ষকদের ভিডিও কনফারেন্সে জানিয়ে দিলেন নতুন পদাধিকারীদের নাম। একুশে বিধানসভা ভোটের আগে যাদের দায়িত্বে আনলেন তা থেকে এটা স্পষ্ট নবীনদেরই দলে প্রাধান্য দিলেন তৃণমূল নেত্রী। নবীন বিগ্রেডে দলে গুরু দায়িত্ব পেলেন, লক্ষ্মীরতন শুক্ল, দুলাল মুর্মু, মহুয়া মৈত্র, পার্থপ্রতিম রায়, শ্যামল সাঁতরা, গুরুপদ টুডুরা।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে আনা হল ছত্রধর মাহাতোকে। পাশাপাশি ঝাড়গ্রামের তৃণমূল জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুলাল মূর্মূকে।
রদবদলের হিসেব বলছে, পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শান্তিরাম মাহাতোকে। তাঁর জায়গায় জেলা সভাপতি হয়েছেন গুরুপদ টুডু। ঝাড়গ্রামে বীরবাহা সোরেনকে সরিয়ে আনা হয়েছে দুলাল মূর্মূকে। একই সঙ্গে বাঁকুড়া জেলা সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়েছে শ্যামল সাঁতরাকে। মূলত, জঙ্গলমহলের ভোটবাক্সের কথা মাথায় রেখেই ছত্রধর মাহাতো, সুকুমার হাঁসদা ও চূড়ামণি মাহাতোকে রাজ্য কমিটিতে আনল তৃণমূল।
যা খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে হাওড়়ার জেলা (শহর) সভাপতির পদ থেকে সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় নিয়োগ করা হয়েছে উত্তর হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লকে। একই সঙ্গে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নদিয়া জেলার সভাপতি করা হল। সেই পদে আগে আসীন ছিলেন গৌরী দত্ত।
সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি হয়েছেন পার্থপ্রতীম রায়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনা হয়েছে রাজ্য কমিটিতে। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অর্পিতা ঘোষকে। তবে সব থেকে অবাক করার বিষয় রাজ্যের কোর কমিটিতে আনা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। ২১শের সভা থেকে এই নামটাই প্রায় শোনা যায়নি তৃণমূল নেত্রীর মুখে।