সংক্ষিপ্ত

  • সন্দেশখালির রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
  • এদিন  আট বছরের কাজের খতিয়ান পেশ করেন তিনি।
  • এল সন্দেশখালি ও হিংসা প্রসঙ্গ

সন্দেশখালির রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এদিন  আট বছরের কাজের খতিয়ান পেশ করতে গিয়ে মমতা সেই প্রসঙ্গেই মনোনিবেশ করলেন। 

তাঁর দাবি, "বাংলা গুজরাট নয়। কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনেক ওসি এসআই কাজ করছে না। পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আমি ব্যবস্থা নেব।" 

বোঝা যাচ্ছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশের ভূমিকায় খুশি নন। একই সঙ্গে রাজ্যে অশান্তির জন্যে সংবাদমাধ্যমকেও একহাত নিচ্ছেন মমতা। তাঁর আর্জি সংবাদমাধ্যম যেন দায়বদ্ধতা বজায় রেখে কাজ করে। খুনের রাজনীতিকে মিডিয়া যেন উৎসাহ না দেয়। 

মমতার দাবি, "রাজ্যের নামে অপপ্রচার চলছে। কেন্দ্রীয় সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। গণতন্ত্র বিক্রি হয় না। আমাদের রাজ্যে সবচেয়ে বেশি শান্তি রয়েছে। রটানো হচ্ছে স্টেইনগান, পাইপগান নিয়ে চলে বাংলার লোক। বিজেপির মতো টাকা আমরা দিতে পারব না। বাংলাকে অপমান করবেন না।"

এদিন মমতা জানান, অশান্তি কমাতে গ্রিভেন্স সেল তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হলে  ৯০৭৩৩০০৫২৪ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে।

প্রসঙ্গত পারফরম্যান্স রিভিউ করতে গিয়ে মমতা বলেন, রাজ্যে জিএসটি বেড়েছে ২৩ শতাংশ, ১২৪ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। সামাজিক খাতে ৯ গুণ খরচ বেড়েছে। মমতার দাবি, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ইত্যাদি ভাতাগুলি সাধারণ মানুষের জন্যে। ভোটব্যাঙ্কের কথা না ভেবেই এই প্রকল্পগুলি চালাতে চায় রাজ্য।

প্রসঙ্গত এদিন সন্দেশখালির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যেও বৈঠক হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে পুলিশে অনাস্থা এবং রাজ্যে শান্তি বজায় আছে এই দুই বিবৃতি কেন দিলেন মমতা। প্রশাসনের কাজে কি তিনিও ভরসা রাখতে পারছেন না?