সংক্ষিপ্ত

  • ক্রীড়াবিশ্বে বাঙালির মুখ উজ্জ্বল করলেন বাংলার মেযে সায়নী দাস।
  • দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে ক্যাটলিনা চ্যানেল জয় করলেন সায়নী। 

ক্রীড়াবিশ্বে বাঙালির মুখ উজ্জ্বল করলেন বাংলার মেযে সায়নী দাস। দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে ক্যাটলিনা চ্যানেল জয় করলেন সায়নী। শুধু তাই নয় তিন বছরে তিনটি চ্যানেল অতিক্রম করার রেকর্ডও পকেটে পুড়লেন সায়ন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন সায়নীর বাবা রাধেশ্যাম দাস।

২০১৭ সাসে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন সায়নী। ২০১৮ সালে পাড়ি জমান রটনেস্ট চ্যানেলে। ২০১৯ সালে এবার ক্যাটালিনা বিজয়। স্বভাবতই উচ্ছসিত সায়নীর বাবা। যদিও সায়নী এখনও পর্যন্ত কোনও প্রশাসনিক স্বীকৃতি পাননি। 

ক্যাটালিনা আইল্যান্ড থেকে ১৯ বছর বয়েসি সায়নী জলে নামেন শনিবাৱর ভারতীয় সময় বেলা ১২টায়। ৩২ কিলোমিটার পেরিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায়  পৌঁছতে তাঁর লাগে ১০ ঘণ্টা ১৩ মিনিট। জল থেকে ওঠার পর  ক্যাটলিনা চ্যানেল সুইমিং ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। তাঁকে অভিবাদন জানান মা বাবা ও প্রবাসী ভারতীয়রা। ছিলেন তাঁর পুষ্টিবিদও। 

অতীতে তৃতীয় বাঙালি মেয়ে হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল জয় করেছিলেন সায়নী। বুলা চৌধুরী, রেশমী শর্মাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিল সে। মাত্র ৯ বছর বয়সে গঙ্গায় নেমেছিল বাংলার এই দামাল মেয়ে।  তখনই স্থির হয়ে যায় দূরপাল্লায় পাড়ি দেবে সে। তবে তা এতদূর, তা কেউ অনুমান করতে পারেনি।

ইতিহাসের ছাত্রী সায়নী আর পাঁচটা সাধারণ বাঙালি মেয়ের মতো দিনযাপন করেন। এদিনও জলে নেমেছেন আলুসেদ্ধ ভাত খেয়ে। আগামী ১৩ জুন দেশে ফিরছেন সায়নী। বিশ্বকাপের ঝড়ে তাঁর কৃতিত্বও এতটুকুও যাতে ম্লান না দেখায়, সে দায়িত্ব না হয় প্রশাসন নিক।