সংক্ষিপ্ত


বুধবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্প কর্তাদের থেকে ইতিমধ্য়েই বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলা।  এহেন শুভ দিনেই  বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে রাজ্যপালের আর্জি জানিয়ে মমতা বললেন, 'কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি যেনও শিল্পপতীদের বিরক্ত না করে।' 


বুধবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্প কর্তাদের থেকে ইতিমধ্য়েই বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলা। উল্লেখ্য, দুদিন ব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনের বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আদানি এবং হিরানন্দানি শিল্পগোষ্ঠী। রাজ্যের একাধিক ক্ষেত্রে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানালেন গৌতম আদানি।এই বিনিয়োগের ফলে রাজ্যের ২৫ হাজার কর্ম সংস্থান হবে। এহেন শুভ দিনেই  বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে রাজ্যপালের আর্জি জানিয়ে মমতা বললেন, 'কোনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি যেনও শিল্পপতীদের বিরক্ত না করে।' 

এদিন বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্পপতিদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিকে ইতিমধ্যেই শিল্প কর্তাদের থেকে ইতিমধ্য়েই বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলা।   বড় অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এদিকে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এসে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, শিল্পপতিরা মুখ খুলতে পারেন না। আমরা কেন্দ্রের সমস্ত সাহায্য চাই। শিল্পপতীদের যেনও এজেন্সি দিয়ে বিরক্ত করা  না হয়। রাজ্যপালকে সেকথা কেন্দ্রকে জানানোর আবেদন জানাই' বলেন এদিন মমতা।

আরও পড়ুন, আজ ধেয়ে আসতে পারে কালবৈশাখী কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এই জেলাগুলিতে

অপরদিকে, উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এদিন বক্তব্য রাখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার ভাষণে বাংলার সংষ্কৃতি, নের্তৃত্বের কথা উঠে এসেছে। এছাড়াও রাজ্যের বিনিয়গের অনুকূল পরিবেশের কথা উঠে এসেছে রাজ্যপালের বক্তব্যে। ষষ্ঠ বাণিজ্য সম্মেলনে সবাইকে স্বাগত জানান এদিন রাজ্যপাল। এদিন রাজ্যপালের বক্তব্যে মমতার সরকারের প্রশংসা লক্ষ করা গিয়েছে। তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ম্যাচিওর্ড নের্তৃত্ব সেই সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তিনি আশা করবেন যাতে উন্নয়নের কাজে যাতে রাজনীতি দূরে থাকে। কেন্দ্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বমূলক অবস্থান এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। বরং কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সমণ্বয়মূলক কাজই ফলপ্রসু হতে পারে। তবে তিনি বলেছেন, আমি নিশ্চিত বিনিয়োগকারীরা সবসময় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, রাজনৈতিক স্থিতি শীলতা, পদ্ধতিগত কাজ, শান্তিপূর্ণকাজ এবং আইন শাসনের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরি করে।'   

আরও পড়ুন, যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার

উল্লেখ্য, এবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসরে  মোট ১৪ টি দেশের প্রতিনিধিরা  যোগ দিয়েছে। মঙ্গলবারেই সেজে উঠেছে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টার। আমেরিকা, ইতালি, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, বাংলাদেশ, ভুটান, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, জাপান কেনিয়ার মতো শিল্প প্রতিনিধিরা এখানে যোগ দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, মমতার সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এদিন প্রথম সম্মেলন হচ্ছে।