সংক্ষিপ্ত
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনের সেই শুনানিতেই কয়েকদিন আগে নতুন রায় শোনায় দেশের শীর্ষ আদালত।
বিধায়ক পদ কী থাকছে মুকুল রায়ের ? গত কয়েকদিন ধরেই এই প্রশ্নই ক্রমাগত ঘোরাফেরা করছে বাংলার রাজনীতির ময়দানে। এদিকে পিএসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ (Supreme Court order in PAC case) ছিল ২ সপ্তাহের মধ্যে মুকুল রায়ের পিএসি চেয়ারম্যান পদে (Mukul Roy as PSC chairman) থাকা নিয়ে হওয়া মামলার শুনানি শেষ করতে হবে। সেই নির্দেশের পর বুধবার এনিয়ে শুনানি ছিল বিধানসভায় (legislative assembly)। সেদিকে নজর ঠিল বাংলার গোটা রাজনৈতিক মহলেরই। এই শুনানিতে মুকুলের তরফে অংশ নেন তাঁর আইনজীবী সায়ন্তক দাস ও আরিফ আলি। অন্যদিকে বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক অম্বিকা রায়, আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। যদিও নিষ্ফলাই রইল মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলার একাদশ শুনানি। শেষ পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারলেন না বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Speaker of the Legislative Assembly Biman Banerjee)।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২৮ জানুয়ারি। এখন সেখানে কোনও নতুন সিদ্ধান্ত হয় কিনা এখন সেটাই দেখার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শেষ বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election on WB) বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। যদিও ভোটের পালা সাঙ্গ হতেই ফের মুকুলের প্রত্যাবর্তন ঘটে পুরনো দল তৃণমূল-কংগ্রেসে (Trinamool Congres)। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও তাঁর মুখে বারবার শোনা গিয়েছে, ভারতীয় জনতা পার্টি বিপুলভাবে জয়ী হবে। আবার কখনও বলেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তো তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে বারেবারেই শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এদিকে বিজেপি-র টিকিটে ভোটে জেতার পর তৃণমূলে যোগদান করলে কেন তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে বিভিন্ন মহলে। সুর চড়ায় বিজেপি।
আরও পড়ুন-
আরও পড়ুন-
অন্যদিকে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনের সেই শুনানিতেই কয়েকদিন আগে নতুন রায় শোনায় দেশের শীর্ষ আদালত। সাফ জানিয়ে দেয় আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলার শুনানি করতে হবে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বাংলার রাজনৈতিক মহলে মুকুলকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় জোর চর্চা। শোরগোল পড়ে যায় বিধানসভা অন্দরেও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে তৃণমূল ভবনে গিয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন মুকুল রায়। যদিও তারপরেও মুকুল রায়ের আইনজীবীদের দাবি, মুকুল রায় বিজেপিতেই ছিলেন এবং বিজেপিতেই রয়েছেন। একদিনের সৌজন্য সাক্ষাতের কারণে কোনোভাবেই বলা যায় না তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপি পরিষদীয় দলের আইনজীবীরা জানিয়েছেন এর উত্তর তারা দেবেন পরবর্তী শুনানি ২৮ জানুয়ারির দিনই।
আরও পড়ুন-