সংক্ষিপ্ত

ইতিমধ্যে মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত সাঁতরগাছি। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছ থেকে আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে। অশান্তির আঁচ কলকাতা ছাড়িয়ে পৌঁছেছে জেলা পর্যন্ত। নবান্ন অভিযানে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে পথ অবরোধ বিজেপির। 

বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন সকাল থেকে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ শহরের একাধিক এলাকা। মিছিল ঠেকাতে বিশাল পুলিশ বাহিনি মোতায়েন করা হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ডানকুনি, দ্বিতীয় হুগলি সেতু সহ নানা জায়গায়। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, এনসি স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, স্টান্ড রোড, কিংসওয়ে মোড় সহ একাধিক রাস্তায়। বিজেপির জমায়েত রুখতে ব্যরিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে নবান্ন মুখী বিভিন্ন রাস্তা। প্রস্তুত জলকামান ও ড্রোন। ইতিমধ্যে মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত সাঁতরগাছি। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছ থেকে আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে। অশান্তির আঁচ কলকাতা ছাড়িয়ে পৌঁছেছে জেলা পর্যন্ত। নবান্ন অভিযানে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে পথ অবরোধ বিজেপির। 

সকাল থেকেই বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে তুঙ্গে প্রস্তুতি। মিছিল রুখতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনি। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় নবান্ন মুখি বিভিন্ন রাস্তা। যে কোনও রকমের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছিল জলকামান ও ড্রোন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয় সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয় বেলেপোল এলাকায়।  ডানকুনি হাউসিং মোড়, টোল প্লাজা,কালিপুরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনি। 

শহরবাসীকে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলী সেতু এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিকল্প রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে,  এজেসি বোস রোড-এক্সাইড মোড়, এজেসি বোস রোড জহরলাল নেহরু রোড। সকাল ১১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত এনসি স্ট্রিট এবং কলেজ স্ট্রিটে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই সময় বিকল্প পথ হিসাবে লেনিন সরণি, মৌলালি হয়ে এজেসি বোস রোড ধরে এগোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১২ টা থেকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে,স্ট্র্যান্ড রোড এবং উত্তর অভিমুখে কিংসওয়ে মোড় পর্যন্ত । বিকল্প পথ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে কিংসওয়ে, আরআর অ্যাভিনিউ, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। দুপুর ১২ টা থেকে ৪ টে পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজও এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভোর ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরে মালবাহী গাড়ি ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর নিরাপত্তা ব্যবস্থার নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন কমিশনার দময়ন্তী সেন। শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকিতে মোতায়ন করা হয়েছিল দু'জন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকছেন ১৮ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক। এ ছাড়াও ৩২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ৬২ জন ইনস্পেক্টর ছিলেন। 
নবান্ন অভিযান রুখতে পুলিশের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সকালেই দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন,"আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে যাচ্ছি, করব। পুলিশের তরফ থেকে বাধা এলে আমরা মারপিট করব না, যেখানে বাধা আসবে সেখানেই বসে ধর্না দেব।" পাশাপাশি তিনি এও বলেন, "পুলিশ কি কেবল বিজেপিকে আটকানোর জন্য আছে? রাস্তা খুঁড়ে ব্যারিকেড লাগিয়েছে। বিজেপি কার্যকর্তারা উগ্রপন্থী নাকি?"

অপর দিকে নবান্ন অভিযান শুরু হওয়ার আগেই সাঁতরাগাছির মুখে শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বাধা দিল পুলিশ। দ্বিতীয় হুগলী সেতুর কাছে শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিন্‌‌হাকে আটক করল পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। 
ইতিমধ্যে জমায়েত শুরু হয়েছে কলেজ স্কোয়ারেও। হাওড়া স্টেশন থেকে বেরিয়ে হাওড়া ময়দানের উদ্দেশে রওনা হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর আটক প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন,‘‘শুভেন্দুকে যে ভাবে আটক করা হয়েছে, তা অন্যায়।’’