সংক্ষিপ্ত

 

  • ২১ ঘণ্টার কলকাতা সফরসূচির রেশ এখনও কাটেনি
  •  ফের রাজ্য়ে আসছেন নরেন্দ্র মোদী
  • সিএএ-র প্রচারে তাঁকে আনার পরিকল্পনা করছে রাজ্য় বিজেপি
  •  ইতিমধ্য়েই নিজেদের ইচ্ছা নমোর কাছে প্রকাশ করেছে মূরলীধর স্ট্রিট

২১ ঘণ্টার কলকাতা সফরসূচির রেশ এখনও কাটেনি। ফের রাজ্য়ে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। সিএএ-র প্রচারে বিরোধীদের বেগ দিতে তাঁকে আনার পরিকল্পনা করছে রাজ্য় বিজেপি। ইতিমধ্য়েই নিজেদের ইচ্ছা নমোর কাছে প্রকাশ করেছে মূরলীধর স্ট্রিট। যা শুনে 'জরুর আয়েঙ্গে' বলে কলকাতা ছেড়েছেন গেরুয়া ব্রিগেডের 'পোস্টার বয়'। 

কলকাতায় আসার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে বিরোধিতা থামছিল না। মোদী গো ব্য়াক স্লোগান ফ্লেক্সে ছেয়ে গিয়েছিল শহর। নমো শহর ছাড়তেই হাঁফ ছেড়ে বেচেছে কলকাতা পুলিশ। যদিও যাওয়ার আগে বিরোধীদের শঙ্কা বাড়িয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার রেস কোর্স থেকে হেলিকপ্টারে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে বিজেপির এক সাধারাণ সম্পাদক মোদীকে ব্রিগেডে সভার বিষয়ে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সিএএ নিয়ে ঝাঁপাতে প্রধানমন্ত্রীকে বক্তা হিসাবে চান তাঁরা। যা শুনে 'জরুর আয়েঙ্গে' বলে শহর ছাড়েন মোদী।  

ইতিমধ্য়েই মোদীর এই আশ্বাসবাণী চাঙ্গা করেছে রাজ্য় বিজেপিকে। আপাতত নাগরিকত্ব প্রচারের প্রাথমিক কাজ সেরে রাখতে চাইছেন তাঁরা। এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে এনে বিরোধীদের যোগ্য জবাব দেওয়ার কথা ভাবছে দিলীপ ব্রিগেড। রাজ্য় রাজনৈতিক মহল বলছে, মোদী রাজ্য়ে এলে এমনিতেই প্রচারের আলোয় থাকবে রাজ্য় বিজেপির ওপর। ফলে মমতা বাহিনীর কথা ধামাচাপা পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বার বার নাগরিকত্ব বোঝাতে অ্যাডভান্ডেজ পাবে নীচু তলার কর্মী। ঘরে ঘরে গিয়ে লিফলেট বিলি করতে সমস্যার মুখে পড়তে হবে না তাদের। জানা গেছে, উদ্বাস্তুদের দিয়ে নাগরিকত্ব আইনের জন্য অভিনন্দন জানানো হবে প্রধানমন্ত্রীকে। 

মোদী ছাড়াও প্রতি মাসে বিজেপির হেভিওয়েটদের রাজ্য়ে আনার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। সিএএ ইস্য়ুতে অমিত শাহ ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে আসার কথা চলছে। রাজ্য় বিজেপির তরফে যাই  হোক না কেন, রাজভবনে দিলীপদের সিএএ নিয়ে ঝাঁপানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, নাগরিকত্ব নিয়ে রোলব্য়াক-এর বিষয় ভাবছে না মোদী সরকার, তা পরিষ্কার  জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য় বিজেপিকে। তবে এনআরসি নিয়ে এখন উচ্চবাচ্য় করতে বারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আপাতত রাজ্য়ে সিএএ ও এনপিআর নিয়ে মানষকে আশ্বস্ত করতে বলেছেন তিনি।

এবার দুদিনের পোর্ট ট্রাস্টের সভায় এলেও রাজনৈতিক সভায় অংশগ্রহণ করেননি প্রধানমন্ত্রী। যদিও বেলুড় মঠের সভায় সিএএ নিয়ে মন্তব্য় করায় কম বিতর্ক হয়নি তাঁকে নিয়ে। এমনকী কলকাতা ছাড়ার আগে টুইট করে মমতাকে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে রাজ্য়ের উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি না করতে বলেছেন মোদী। টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কোনও ধরনের কাজই ফেলে রাখছে না কেন্দ্র। আমাদের আবেদন, বাংলায় উন্নয়ন ইস্য়ুতে রাজনীতি বন্ধ হোক। আয়ুষ্মান ভারত ও প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার মতো প্রকল্প চালু হোক।