সংক্ষিপ্ত

  •  রূপান্তরকামীদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
  • এই প্রথম এম.ফিল ইন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি'তে আলাদা  ক্যাটেগরি রাখা হল
  • আলিয়া শেখ নামের এক রূপান্তরকামীকে বুধবারই ফর্ম পূরণের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট
  • বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর নির্দেশে ফর্ম পূরণের স্বপ্ন পূরণ করতে পারলেন ওই রূপান্তরকামী

একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রূপান্তরকামীদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই প্রথম এম.ফিল ইন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি'তে ভর্তির জন্য আলাদা একটি ক্যাটেগরি রাখা হল রূপান্তরকামীদের জন্য৷ আলিয়া শেখ (২৬) নামে এক রূপান্তরকামীকে বুধবারই ফর্ম পূরণের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর নির্দেশের ফলে এদিন ফর্ম পূরণের স্বপ্ন পূরণ করতে পারলেন কলকাতায় বসবাসকারী ওই রূপান্তরকামী। 

ধনখড়-মুখ্যমন্ত্রী সংঘাতের জের, রাজ্যপালের পদ রাখা নিয়ে প্রশ্ন পার্থর

আলিয়া ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে এম.এস.সি পাশ করে এম.ফিল করার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে দেখেন, ফর্মে মহিলা এবং পুরুষ বিভাগ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কোনও ক্যাটেগরি নেই৷ ফলে প্রথমে তিনি ফর্ম পূরণ করতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এই নিয়ে মামলা করেন তিনি।  তাঁর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ দে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নালসা জাজমেন্ট অনুযায়ী  তৃতীয় লিঙ্গকে সামাজিক এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি বলা হয়েছে৷  

মুখ ঘুরিয়ে মমতা, মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে হতভম্ব রাজ্যপাল

তাদের চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের কথাও বলা হয়েছে৷ এর জন্য প্রয়োজন নীতি নির্ধারণ। তাই মামলাকারী চান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ফর্মে রূপান্তরকামীদের জন্য পৃথক ক্যাটেগরি থাকুক। তাদের ওবিসি হিসেবে অন্তর্ভুক্তের দাবি করেন মামলাকারীর আইনজীবী। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আইনজীবী নীলোৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, নতুন ফর্মে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য পৃথক ক্যাটেগরি রাখা হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে নীতি নির্ধারণ করাটা রাজ্য সরকারের কাজ। সব শুনে বিচারপতি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য সরকারকে আগামী শুক্রবার এ বিষয়ে আদৌ কোনও নীতি নির্ধারিত হয়েছে কিনা তা জানাতে বলেছেন।