সংক্ষিপ্ত
৪৬৮ কোটি টাকা খরচ করে ৮ লেনের ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে। পুজোর আগে খুলে দেওয়া হচ্ছে। টালা ব্রিজের যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছিলেন উত্তর কলকাতার এক্কেবারের শেষপ্রান্ত এবং সেই সংলগ্ন শহরতলির মানুষ
দুর্গাপুজোর আগেই খুলে দেওয়া হচ্ছে টালা ব্রিজ। ৩১ জানুয়ারি ২০২০-তে বন্ধ হয়েছিল ব্রিজ। টালা ব্রিজ ভেঙে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে। ৪৬৮ কোটি টাকা খরচ করে ৮ লেনের ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে। পুজোর আগে খুলে দেওয়া হচ্ছে। টালা ব্রিজের যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছিলেন উত্তর কলকাতার এক্কেবারের শেষপ্রান্ত এবং সেই সংলগ্ন শহরতলির মানুষ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে যায় টালা ব্রিজ। সেদিন মধ্যরাত থেকেই ব্রিজে বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত যান চলাচল। যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পরেই শুরু হয় প্রাচীন ব্রিজটি ভাঙার কাজ। এটি ভাঙতে আনুমানিক ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। টালা ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৮০০ মিটার। টালা ব্রিজ বন্ধ হওয়ার পর উত্তরমুখী গাড়ি চলাচল করছিল কাশীপুর উড়ালপুল দিয়ে। উত্তরমুখী ভারী গাড়ি চলছিল লকগেট ব্রিজ দিয়ে। দক্ষিণমুখী গাড়ি চলছিল ইন্দ্র বিশ্বাস রোড হয়ে।
টালা ব্রিজের কারণে ইতিমধ্যে পরিবর্তন করা হয় বাস চলাচলের রুট। ব্রিজ বা ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ৪২টি বাসরুট নতুন পরিবর্তিত পথে চলছে। টালা ব্রিজের বিকল্প লেভেল ক্রসং নিয়েও কাজ চলছে। পুরনো চিৎপুর ব্রিজের পাশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই লেভেল ক্রসিং।
জানা গিয়েছে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টালা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় তার বেহাল অবস্থা নজরে আসে। সেতুটি অবিলম্বে ভেঙে ফেলা দরকার বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা। সেতুর উপর দিয়ে বাস চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে চরম হয়রানির মধ্যে পড়েন বি টি রোড দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। এর পরেই নতুন সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
রাজ্যের সঙ্গে রেলও টালা ব্রিজ তৈরির দায়িত্ব নেয়। কারণ রেল লাইনের উপর দিয়েই গিয়েছে টালা ব্রিজ। জানা যায় কেবল চেন পদ্ধতিতে নতুন এই সেতু তৈরি করা হবে। এর ফলে রেল লাইনের মাঝে কোনও পিলার বসাতে হবে না। রেলের লাইনের দু' পাড়ে শুধুমাত্র পিলার থাকবে। মাঝের অংশে লোহার তার দিয়ে সেতুর ওজন ধরা থাকবে। এই প্রযুক্তিতেই দ্বিতীয় হুগলি সেতু, পার্ক সার্কাস চার নম্বরে মা উড়ালপুলে রেল লাইনের উপরের অংশ নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে নতুন সেতুর তৈরির জন্য রাজ্যের নকশায় আপত্তি জানিয়েছিল রেল। কারণ রেল লাইনের মধ্যে পিলার বসিয়ে আর সেতু তৈরি করতে রাজি হয়নি তারা। রেলের যুক্তি ছিল, পিলার বসাতে গেলে ট্রেন চলাচলে সমস্যার পাশাপাশি ভুগর্ভস্থ জলের লাইন-সহ জরুরি পরিষেবার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর পরেই নকশা বদলে 'কেবল চেন' প্রযুক্তিতে সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।