সংক্ষিপ্ত

চারদিনে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলের ভারবহন ক্ষমতার পরীক্ষা করা হবে। এই কটা দিন উড়ালপুলের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। ফলে ওই চারটি দিন উড়ালপুলের নিচে দিয়েই যাতায়াত করতে হবে। 

বছরের (Year) শেষ মাসে চারদিন বন্ধ থাকবে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল (Park Street Flyover)। সুতরাং রবীন্দ্র সদন থেকে ধর্মতলা যেতে গেলে এই উড়ালপুল ব্যবহার করা যাবে না। উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা (load test) করার জন্যই টানা চারদিন তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (Friday) অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর রাত ১০টা থেকে সোমবার (Monday) অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল। তারপর আবার সেখানে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। 

এই চারদিনে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলের ভারবহন ক্ষমতার পরীক্ষা  করা হবে। এই কটা দিন উড়ালপুলের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। ফলে ওই চারটি দিন উড়ালপুলের নিচে দিয়েই যাতায়াত করতে হবে। ব্যবহার করতে হবে জওহরলাল নেহরু রোড (Jawaharlal Nehru Road)। ইতিমধ্যেই শহরের প্রত্যেকটি সেতু এবং উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। 

কলকাতার আরও ৫টি উড়ালপুলের ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন  (Hooghly River Bridge Commission)। তার মধ্যে প্রথমে হাত দেওয়া হচ্ছে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলে। এরপর একে একে লকগেট উড়ালপুল, এজেসি বোস রোড (AJC Bose Road), খিদিরপুর উড়ালপুল, দমদম নাগেরবাজার (Dumdum Nagerbazar) ও গড়িয়াহাট উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।  

পোস্তা উড়ালপুল থেকে মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা শহরকে। পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার স্মৃতি আজও তাজা শহরবাসীর মনে। তারপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন যে সব উড়ালপুল এবং সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। তারপর সেই রিপোর্ট পেশ করতে হবে। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তা মেরামত করতে হবে। তার জন্য বন্ধ থাকবে উড়ালপুল বা সেতু।

এদিকে ২০১৫ সালে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল তৈরি হয়েছিল। তবে এখানে এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। কিন্তু, বছর শেষে জমজমাট হয়ে উঠবে পার্ক স্ট্রিট। আর সেই কারণে ওই সময় ওই এলাকায় গাড়ির চাপও অনেক বেশি থাকবে। তাই তার জন্যই আগে ভাগে ওই উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অফিস যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য শনিবার ও রবিবার দিনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।