সংক্ষিপ্ত

শিল্প মন্ত্রক এখনই কারও হাতে তুলে দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী৷ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা এখনও সামনে না এলেও নবান্ন সূত্রের এই খবর জানা গিয়েছে৷ সূত্রের খবর, শিল্প দফতর নিজের হাতেই রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্ণীতিকাণ্ডে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলে ছিল বিরোধীরা। দলের অন্দরেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে চাপ বাড়ছিল। এই অবস্থায় মন্ত্রিত্ব থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেলার মত কঠিন সিদ্ধান্তই নিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। উল্লেখ্য শিল্প ছাড়াও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে ছিল, পরিষদীয়, তথ্য প্রযুক্তির মত গুরুত্বপূর্ণ দফতর। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

জানা গিয়েছে নবান্নে মাত্র ১৫ মিনিট হয় এই বৈঠক।  তারপরই নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ করার কথা ঘোষণা করা হয়। এই তিনটি দফতর আপাতত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই থাকবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ মুখকে অপসারণের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন 'পার্থদার কাছে যে দফতরগুলো ছিল সেগুলো থেকে রিলিভড করা হয়েছে। এখন ওই দফতরগুলো আমার কাছে চলে এসেছে। পার্থ দার কাছে যে দফতরগুলো ছিল এখন সেগুলো আমার কাছে, আমি তো আর কিছু করবো না। দেখছি, কাউকে বন্টন করা হবে।'

শিল্প মন্ত্রক এখনই কারও হাতে তুলে দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী৷ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা এখনও সামনে না এলেও নবান্ন সূত্রের এই খবর জানা গিয়েছে৷ সূত্রের খবর, শিল্প দফতর নিজের হাতেই রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ইনফরমেশন টেকনোলজি দফতরের দায়িত্বে আনা হচ্ছে ব্রাত্য বসুকে। অন্যদিকে পরিষদীয় মন্ত্রী সম্ভবত হতে চলেছেন তাপস রায় বা নির্মল ঘোষ। নবান্নের পাশাপাশি একই খবর মিলেছে দলীয় সূত্রেও।

এদিকে, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থকে। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্ণীতিকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একের পর নাম প্রকাশ্যে আসছে তাঁর বান্ধবীদের। যাদেরই মধ্যে একজন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এই টাকা যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তা প্রাথমিক জেরাতেই জানিয়েছিলেন অর্পিতা। যা নিয়ে দল যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছে বলেও সূত্রের খবর।

এর আগে দেখা গিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে তৎকালীন পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র গ্রেফতার হওয়ার পরও দীর্ঘ সময় তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা জানিয়ে দিয়েছিল, মদন মিত্র গ্রেফতার হলেও তার মন্ত্রিত্ব থাকবে। আবার ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে তৃনমূল বিপুল জয়ের পরও নারদা চিটফান্ড কাণ্ডে রাজ্যের গ্রামন্নোয়ন (পঞ্চায়েত) মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মেয়র ও পরিবহসমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমসহ অনেকে স্বল্প সময়ের জন্য গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে মন্ত্রিত্বে থাকা নিয়ে কোনও হেরফের হয়নি।