সংক্ষিপ্ত
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটি। সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সব পদ থেকে তো বটেই, দল থেকেও বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এবার তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বরখাস্ত করা হল। পার্থকে দলের সব থেকেও সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যু নিয়ে বৈঠকে বসে তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটি। সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সব পদ থেকে তো বটেই, দল থেকেও বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের মহাসচিব পদ, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভাপতি এবং পরিষদীয় দলনেতার পথ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পদে ছিলেন। পাশাপাশি দুটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বও ছিল তাঁর হাত। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে যাতে দ্রুত মন্ত্রিত্ব ও দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তার দাবি করেছিলেন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে কুণাল জানিয়ে ছিলেন তিনি তাঁর আগের টুইটে নিজের মতামত দিয়ে ছিলেন। এখন তিনি দলীয় বিষয় তুলে ধরছেন। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটাই চূড়ান্ত। আগেই কুণাল পার্থকে দল ও মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে।
তবে মজার বিষয় হল যে শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক এদিন ডাকা হয় সেই শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যদের তালিকায় নাম রয়ে গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে দিল্লিতে থাকায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সুদীপ। তবে তাঁকেও এই বৈঠকে ডাকা হয়।