সংক্ষিপ্ত
২০ অগাস্ট পর্যন্ত নিজের পরিচিত মানুষ, কোনও সেলেব্রিটিকে স্বাগত বা বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে শুধু বিমানবন্দরের মধ্যেই নয়। বাইরেও ভিড় করতে পারবেন না কেউ।
আগামীকাল স্বাধীনতা দিবস। আর তার জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। এখন থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন না কোনও দর্শনার্থী। ২০ অগাস্ট পর্যন্ত জারি থাকতে এই নিয়ম। এখন শুধুমাত্র বৈধ টিকিটের যাত্রীরা, বিমানসংস্থার কর্মীরা, বিমানবন্দরের কর্মীরা এবং নিরাপত্তাকর্মীরা ছাড়া আর কাউকে সেখানে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া এই সময় কর্মীদের জন্যও অস্থায়ী পাশ ইস্যু করা হয়েছে। সেটি দেখিয়ে তবেই বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন তাঁরা।
২০ অগাস্ট পর্যন্ত নিজের পরিচিত মানুষ, কোনও সেলেব্রিটিকে স্বাগত বা বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে শুধু বিমানবন্দরের মধ্যেই নয়। বাইরেও ভিড় করতে পারবেন না কেউ।
এর পাশাপাশি কলকাতা বিমানবন্দরের নিরাপত্তাও যথেষ্ট কড়াকড়ি করা হয়েছে। কড়া বেষ্টনি দিতে বাড়ানো হয়েছে সিআইএসএফ ও পুলিশকর্মীদের সংখ্যা। ২৩ শতাংশ সিআইএসএফ ও ৪০ শতাংশ পুলিশকর্মী বাড়তি নিয়োগ করা হয়েছে বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে।
আরও পড়ুন- সদ্যোজাতকে ৫ হাজার টাকায় বেচে দিলেন মা, চাঞ্চল্য মেদিনীপুরে
আরও পড়ুন- মুচিপাড়াকাণ্ডে BJP নেতা সজল ঘোষকে ২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ কোর্টের
ঠিক তেমনই ছয় ধাপ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বিমানযাত্রীদের। প্রথমে চেকিং করবে সিআইএসএফ আর সবশেষে বিমানসংস্থার তরফে চেকিং করা হবে।
চেকিংয়ের মধ্যে রয়েছে- প্রবেশের মুখে চেকিং, দ্বিতীয়টি বিমানে ওঠার সময় ডিপারচার এন্ট্রি গেটে চেকিং, তৃতীয় লাউঞ্জের ভিতরে এলোমেলোভাবে চেকিং, চতুর্থ চেকিংকে এরিয়া ডমিনেশন সিস্টেম বলা হবে। কোনও যাত্রী ব্যাগ ফেলে রেখে যাচ্ছেন কিনা তা দেখার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে সিআইএসএফ কর্মীদের। পঞ্চম চেকিং হল ভেতরের নিরাপত্তা বেষ্টিত এলাকায় চেকিং। আর শেষ চেকিং হবে বিমানের বোর্ডিং গেটে। বিমানসংস্থার কর্মীরা এই চেকিং করবেন।
আরও পড়ুন- রাত পেরোলেই ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস,সাজো সাজো রব রেড রোডে
একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরের ভিতরে দাবিদারহীন কোনও ব্যাগ ১৫ মিনিট ধরে পড়ে থাকলে তা সুরক্ষাকর্মীরা বাজেয়াপ্ত করবে। এছাড়া বিমানবন্দরের মাঝে যাত্রীদের করোনাবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য দেশের স্বাধীনতা দিবস ও সাধারণতন্ত্র দিবসের সময়ে বিমানবন্দরগুলিতে নাশকতার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতি বছরই ওই সময়গুলিতে সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তাই এবারেও কলকাতা বিমানবন্দরে এই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।