সংক্ষিপ্ত

 

  • ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে ঘটে বিপত্তি
  • বউবাজারে ভেঙে পড়ে একাধিক বাড়ি
  • রাতারাতি গৃহহীন হন বহু পরিবার
  • বউবাজারে মেট্রোর কাজে স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট

রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাটির নিচের টানেল বোরিং মেশিন সরানোর অনুমতি মিলেছে। বউবাজারে ফের পুরোদমে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ শুরু করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ নির্মাণকারী সংস্থা। তাদের আলাদাভাবে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ।  মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ ডিসেম্বর।

আরও পড়ুন: শপথবাক্য পাঠ করিয়ে মিছিল শুরু মমতার, প্রবল যানজটের আশঙ্কা

কলকাতায় জোরকদমে চলছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। ডিসেম্বরে সল্টলেক সেক্টর ৫ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবার উদ্বোধন হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বউবাজারে কিন্তু এখন মেট্রোর কাজ বন্ধ। কারণ মাস তিনেক আগে মাটির নিচে টানেল বোরিং মেশিন সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে ঘটে গিয়েছে বিপর্যয়। মেশিনের চাপ সহ্য করতে না পেরে ভেঙে বউবাজারে দুর্গাপিতুরি লেন ও স্যাকপাড়া লেনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে একাধিক বাড়ি। রাতারাতি গৃহহীন হন বহু পরিবার। এই ঘটনার পরই বউবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজে স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট।  আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট দেখে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না। 

আরও পড়ুন: অশান্তি বন্ধে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি, মামলা দায়ের হল ফিরহাদের বিরুদ্ধেও

এর আগে নভেম্বরের মাঝামাঝি বউবাজারে মাটির নিচে একটি টানেল বোরিং মেশিন সরানোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা। মেট্রো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, বউবাজারে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার জন্য মাটির নিচে দুটি টানেল বোরিং মেশিন বসানো হয়। বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় একটি মেশিনের ক্ষতি হয়েছে।  কিন্তু দ্বিতীয়টির তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। সেটি অক্ষতই আছে। বরং মেট্রোর কাজ বন্ধ থাকার কারণেই মেশিনটির ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়ে শেষপর্যন্ত মেট্রো কর্তৃপক্ষকে টানেল বোরিং মেশিন সরানোর অনুমতিও দেয় আদালত।  কিন্তু বউবাজারে ফের মেট্রোর কাজ শুরু করার অনুমতি কি মিলবে? আগামী ২০ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি