সংক্ষিপ্ত
- ইলিয়ট রোডে একটি হোটেলে জুয়ার আসর বসিয়েছিল পাঁচ ব্যক্তি
- গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের হাতেনাতে ধরল পুলিশ
- ধৃতদের কাছে মিলল নগদ টাকা, তাস ও মোবাইল
- পার্কস্ট্রিট থানায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
খাস কলকাতায় একটি হোটেলে জুয়ার আসর বসেছিল। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পার্কস্ট্রিটের ইলিয়ট রোডের ওই হোটেল থেকে পাঁচজন জুয়াড়ি হাতেনাতে ধরে ফেলল পুলিশ। পার্কস্ট্রিট থানার মামলা দায়ের করেছেন তদন্তকারীরা। শুরু হয়েছে তদন্ত।
শহরে জাল নোট, মাদক-সহ বিভিন্ন বেআইনি কারবারের রমরমা যেমন বাড়ছে, তেমনি আবার উৎসবের মরশুমে বিভিন্ন হোটেল ও বারে জুয়ার আসরও বসে। প্রতি বছর পুজোর আগে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই নিয়ম করে জুয়া বিরোধী অভিযানে নামে কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে কলকাতা পুলিশের কাছে খবর আসে যে, পার্কস্ট্রিটের ইলিয়ট রোডের হলিডে ইন নামে এক হোটেলে জুয়ার আসর বসেছে। যে হোটেলের জুয়ার আসর বসেছিল, মঙ্গলবার রাতে সেই হোটেলে অভিযান চালান কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। হোটেলে পুলিশ দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যায় জুয়াড়িরা, পালানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। ৫ জনে ধরে ফেলেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, ৫ মোবাইল ফোন, তাস-সহ বেশ কিছু কাগজপত্র। সেসবই বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ।
কিন্তু জুয়ার আসরে তাস নিয়ে কী করছিলেন ধৃতেরা? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ইলিয়ট রোডে যে হোটেলে যারা জুয়ার আসর বসিয়েছিল, তারা প্রত্যেকেই পেশাদার জুয়াড়ি। তাস দিয়েই জুয়া খেলছিল তারা। ধৃতদের মধ্যে রজনীশ কুমার মালহোত্রা বাড়িতে ইলিয়ট রোডেই। তাকে অবশ্য কাককু নামেই চেনে সকলেই। মহম্মদ শাকির, শাহিদ পারভেজ, মহম্মদ দিলশাদ ও মহম্মদ ঔরঙ্গজের নামে চার বন্ধুকে নিয়ে হোটেলে জুয়ার আসর বসেছিল এই রাজনীশই। ধৃতদের বিরুদ্ধে পার্কস্ট্রিট থানার একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই জুয়ার চক্রের সঙ্গে কী আর কেউ জড়িত? ধৃতদের জেরা করা তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।