সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার সাতসকালে শহরে জোড়া খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এদিন সকালে বাঁশদ্রোণী এলাকায় নিজের বাড়ির সামনেই পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত দেহ , ইতিমধ্য়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌছেছে হোমিসাইড শাখা।
মঙ্গলবার সাতসকালে শহরে জোড়া খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে (Murder Case)। এদিন সকালে নিজের বাড়ির সামনেই পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত দেহ। মর্মান্তিক ঘটনা বাঁশদ্রোণী এলাকায়। ইতিমধ্য়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌছেছে হোমিসাইড শাখা (Lalbazar)। প্রাথমিভাবে বিষয়টি খুন বলেই অনুমান পুলিশের (Police) । অপর একটি রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে টালিগঞ্জে।
এদিন সকাল সাতটা নাগাদ বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্ক এলাকায় নিজের বাড়ির সামনেই এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম জানা গিয়েছে মুকেশ সাউ। স্ত্রী ও ছেলেকে নিেয় সোনালি পার্কের বাড়িতেই থাকতেন মুকেশ। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসেই দুই ছেলেকে নিয়ে বিহারে গিয়েছিলেন মুকেশের স্ত্রী। তারপর গতকাল অবধি সোনালি পার্কের বাড়িতে একাই ছিলেন মুকেশ। সোমবার তিনি একটি বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রনে গিয়ে বাড়িও ফেরেন বলে খবর। এরপরেই এদিন সকাল সাতটা নাগাদ নিজের বাড়ির সামনেই মুকেশের রক্তাক্ত মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদিন সকালে প্রথম মুকেশ দেহ দেখতে পান তার ভাই সঞ্জয় সাউ। তিনি বাঁশদ্রোণী থানায় খবর দেন। এরপরেই ঘটনাস্থলে এসে পৌছয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মুকেশের গলায় ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পাশপাশি তাঁর কাঁধে , ডান হাতে ক্ষত চিহ্ন মিলেছে। এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌছয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকেরা। দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে খুন বলে অনুমান পুলিশের। তবে কী কারণে এই খুন করা হয়েছে , এবিষয়ে তদন্তে শুরু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মুকেশের বাড়ির সামনে সিসিটিভি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
অপরদিকে, এদিন মুদিয়ালি থানা এলাকায় আরও একটি রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে গেস্ট হাউজের সামনে ওই দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তি প্রভাত কুমার ঘোষ দুর্গাপুরের বাসিন্দা। কী কারণে এই খুন হয়েছে, তদন্তে নেমেছে টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত বালিগঞ্জ জোড়া মার্ডার কেসের পর ফের খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শহরে। যদি বালিগঞ্জে জোড়া খুন একই স্থানের সঙ্গে যুক্ত। এবং মঙ্গলবারের ঘটনা দুটো পৃথক স্থানে হলেও পুরভোটের আগে ফের এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগের মুখে পুলিশ প্রশাসন। কিছুদিন আগেই রাজ্যের ইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। এবার একই দিনে শহর কলকাতায় পর দুটি খুনের ঘটনায় তা আরও একবার উত্তপ্ত করতে পারে রাজ্য-রাজনীতি বলে মত সাধারণ মানুষের।