সংক্ষিপ্ত
- ফ্ল্যাটে 'আত্মঘাতী' বছর পঁচিশের তরুণী
- চোদ্দো পর পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ
- নিউ আলিপুরে মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি
- ওই প্রৌঢ়া কাউকে কিছু জানাননি বলে অভিযোগ
ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেছে মেয়ে, কাউকে কিছু না জানিয়ে দরজা লক করে বেরিয়ে পড়লেন মা! পনেরো দিন পর দরজা ভেঙে বছর পঁচিশের ওই তরুণীর পচগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনির ঘটনা।
মৃতের নাম গুডেন ধানানি ওরফে ববি। বছর দুয়েক ধরে নিউ আলিপুরের সাহা কলোনীর একটি ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগে চাকরি করতেন গুডেন, পরে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে টিউশনি করা শুরু করেন। কিন্তু তিনি যে আত্মহত্যা করেছেন, তা টের পাওয়া পাননি। এমনকী, ফ্ল্যাটের দরজা-জানলা বন্ধ থাকায় বেরোয়নি দুগন্ধও। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে শহরের বাসিন্দা বিজয় খাটনানিকে ফোন করে গুডেন-এর মা নীলম। ফোনে ওই প্রৌঢ়া জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী, পচাগলা দেহটি ফ্ল্যাটেই রয়েছে। মেয়ের ওই অবস্থা দেখে ফ্ল্যাটে দরজা লক করে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। এরপরই পুলিশ গিয়ে নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনিতে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে গুডেন-এর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: প্রকৃতিকে বাঁচানোর বার্তা, সাইকেলে দেশ ভ্রমন কলকাতাবাসীর
জানা গিয়েছে, গুডেন আত্মহত্যার করার কাটিহার চলে যাচ্ছিলেন তাঁর মা। কিন্তু হাওড়া স্টেশনে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে জিআরপি। হাসপাতাল থেকে বিজয় খাটনানিকে ফোন করে মেয়ের আত্মহত্যার করার কথা জানান ওই প্রৌঢ়া। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হয়তো মা ও মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যার করার পরিকল্পনা করছিলেন। মেয়েকে মরতে দেখে মা আর আত্মহত্যা করতে পারেননি। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, গত দশদিন ধরে গুডেন-এর মা-কে এলাকায় দেখা যায়নি। গত ৩১ ডিসেম্বরও নাকি ফ্ল্যাটের দরজা তালা লাগানো ছিল। মেয়ে-কে খুন করে মা আত্মহত্যার গল্প বলছেন না তো? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।