সংক্ষিপ্ত
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আজ সকাল থেকেই মেঘলা করে রয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির আকাশ। আর তার সঙ্গে দোসর হয়েছে কুয়াশা। আজ গোটা দিনই আবহাওয়া এইরকম থাকবে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে।
পৌষ মাস প্রায় শেষ হতেই চলল। মাঘ মাস আসতে হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। এই সময় কনকনে ঠান্ডায় একেবারে জবুথবু হয়ে যায় বাংলা। আর এই সময় শীতকে (Winter) আরও সুন্দর করে তোলে খেজুরের রস। কিন্তু, এই দিন এ মরশুমে আর দেখতে পাওয়াই যাচ্ছে না। বরং রাজ্যে এখন শীতের পরিবর্তে বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস শোনা যাচ্ছে। পৌষের অকাল বর্ষণে ভিজছে বাংলার একাধিক জেলা। তার সঙ্গে আবার রয়েছে শিলা বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। সোমবারই পশ্চিমের জেলাগুলিরতে বৃষ্টি হয়েছে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। আর আজও উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) প্রায় সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আজ সকাল থেকেই মেঘলা করে রয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির আকাশ। আর তার সঙ্গে দোসর হয়েছে কুয়াশা। আজ গোটা দিনই আবহাওয়া (Weather) এইরকম থাকবে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। বেলার দিকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি হবে। মূলত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) বৃষ্টির পরিমাণ কম হবে। দার্জিলিং, কালিম্পয়ে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।”
আরও পড়ুন- গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে কী কী স্পেশাল লোকাল ট্রেন চলবে, ঘোষণা পূর্ব রেলের
একইসঙ্গে সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায় জানান, “১২ তারিখ হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই। ১৩ ও ১৪ জানুয়ারিও বৃষ্টি থাকবে, তবে ১২ তারিখের তুলনায় কমবে দাপট। ১১ থেকে ১৪ আমরা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি পাব। আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানের দু’ এক জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।” আপাতত রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকায় শীতের অনুভূতি নেই বললেই চলে। বৃষ্টির কারণে আলু চাষ ও সবজি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলেও হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। তবে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে গেলে মাঘের প্রথম সপ্তাহে ফের তাপমাত্রা কমতে পারে।
এদিকে পৌষের অকাল বর্ষণের ফলে চাষের ক্ষতির আশঙ্কা নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে জেলার কৃষি আধিকারিকদের কাছে। সবরকমভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে কৃষি আধিকারিকদের। বৃষ্টি হলে চাষিদের শস্যের ক্ষয়ক্ষতি হবেই। বিশেষ করে আলু চাষিদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হতে পারে এই বৃষ্টি। নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, এর জন্য ব্লকের কৃষি আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন রবিশস্যের সময়। একইসঙ্গে এই সময় বোরো ধানও চাষ হয়। সেসব দিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।