সংক্ষিপ্ত

  • কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীবকে মাত্র ৭ দিনের জামিনের আবেদনের সুযোগ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
  • এবার রাজীব আবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন এই অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য। 

গত শুক্রবারে হাত তুলে নিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। রাজীব কাণ্ডের শুনানিতে সেদিন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাজিবের ওপর থেকে রক্ষাকবচ সরিয়ে নিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার সিবিআই চাইলে রাজীবকে জেরা করতে পারবে। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীবকে মাত্র ৭ দিনের জামিনের আবেদনের সুযোগ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার রাজিব আবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন এই অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য। রাজীবের যুক্তি, এই সময় রাজ্যে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলছে ফলে তাকে আরো সময় দেওয়া হোক।

সারদা মামলায় রাজীব কুমারকে প্রথম সমন পাঠানো হয় ২০১৭-র ১৬ অগস্ট। রাজীব সেই সময়ে জানিয়েছিলেন, ছট ও দুর্গাপুজোর ব্যবস্থা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। পুজোর পরে ২৩ নভেম্বর রাজীব কুমারকে ফের তলব করা হয়। কিন্তু সে বারও তিনি আসেননি। তখনই কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের বাড়িতে সিবিআই যায়। রাজীব কুমারের সিবিআই জেরা ঠেকাতে আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। তবু জেরা আটকানো যায়নি। শিলংয়ে পাঁচ দিনের টানা জেরা সামলাতে হয়েছে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। শেষে সর্বোচ্চ আদালত বলে, ২০ তারিখ পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না রাজীব কুমারকে।

কিন্তু হাল ছাড়েনি সিবিআই বরং আদাজল খেয়ে নেমে পড়েন অফিসাররা। তাঁদের মামলাতেই গত মঙ্গলবার রাজীব কুমারকে দেওয়া নিজেদের রক্ষাকবচ  প্রত্যাহার করে নিয়েছে শীর্ষ আদালত। যার ফলে রাজীবকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে সিবিআই। কিন্তু একইসঙ্গে একটি শর্ত দিয়েছে শীর্ষ আদালত। রায়ে বলা হয়েছিল, আগামী সাত দিনের মধ্যে রাজীবকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। প্রায় চারদিক থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় রাজীব চাইছেন সেই ব্যবস্থাই আরেকটু প্রলম্বিত হোক।