সংক্ষিপ্ত

  • অসন্তুষ্ট বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দারা
  • বাড়ি ফিরতে পারলেও নেই বিদ্যুৎ ও জল
  • ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন
  • কেএমআরসিএলের থেকে লিখিত সার্টিফিকেট দাবি 

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বউবাজারের একাধিক বাড়ি। নিরাপত্তার স্বার্থে  তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বাড় করে দেওয়া হয় বাসিন্দাদের। তারপর গত চার সপ্তাহ ধরে হোটেলেই সাময়িক সংসার পেতেছেন তারা।  বাড়ি  ফিট সার্টিফিকেট পেলেই ঘরে ফিরতে পারবেন বাসিন্দারা, জানিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।  তাই বাড়ি ফিরতে পারবেন ফোন পেয়ে আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠেছিলেন স্যাকরাপাড়া লেন, গৌর দে লেন  ও দু্র্গা পিতুরি লেনের  বাসিন্দারা। কিন্তু বাড়িতে ফিরতেই  সম্বিত ফিরল অধিকাংশ বাসিন্দার। এখনও বহু বাড়িতেই রয়েছে ফাটল।  ধস ঠেকাতে গোটা বাড়ি মোটা মোটা শালবল্লা ও ইস্পাতের ফ্রেম দিয়ে আটকানো হয়েছে।  কীভাবে এই বাড়ি ফিট সার্টিফিকেট পেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা। এই বিষয়ে  কেএমআরসিএলের  থেকে ফিট সার্টিফিকেট না পাওয়া পর্যন্ত তারা বাড়ি ফিরবেন না বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।

২৫ তারিখ হোটেল ছেড়ে বাড়িতে ফিরতে বলা হয় ৮৫ জন বাসিন্দাকে। এরপর হোটেলে থাকেল কেএমআরসিএল আর খরচা দেবে না বলেও চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দেওয়ালে ফাটল, বেঁকে যাওয়া কাঠামোর  দরজা বন্ধ না হওয়া, বসে যাওয়া মেঝে, চিরে থাকা রাস্তা দেখে প্রবল অসুন্তুষ্ট  ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির বাসিন্দারা। বয়স্ক ও ছোটদের নিয়ে এই বাড়িগুলিতে কী করে থাকবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। বাড়ি নিরাপদ অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত ফিরবেন না বলে ঠিক করেছেন অধিকাংশ বাসিন্দাই। হোটেল থেকে জোর করে বের করতে গেলে ফল ভাল হবে না বলেও স্পষ্ট জানাচ্ছেন তারা।

এদিকে বাড়ি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে যোগাযোগ করার কথা জানাচ্ছেন কেএমসিএল-এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার।  বিদ্যুত ও জলের সমস্যার কথাও কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তবে বাসিন্দারা বাড়িতে থাকতে শুরু করলে  জল-বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হবে বলেই দাবি করছে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ।