সংক্ষিপ্ত
বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সব্যসাচী দত্ত
অমিত শাহের উপস্থিতিতে দলবদল
নেতাজি ইন্ডোরে বিজেপির পতাকা হাতে নেবেন
দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল
অবশেষে সব জল্পনার অবসান হতে চলেছে, দেবীপক্ষেই দল বদলাতে চলেছে বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিতে চলেছেন রাজারহাটা- নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। তাঁর সঙ্গে কয়েক হাজার অনুগামীও পদ্ম শিবিরে যোগ দিচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।
সব্যসাচী দত্তের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়েছিল গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই। দোলের আগে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সব্যসাচীর বাড়িতে লুচি, আলুরদম খাওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই বিধাননগরের তৎকালীন মেয়রের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কে ফাটল ধরে। সেই ফাটল যত দিন গেছে ততই দীর্ঘতর হয়েছে। বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুকে মন্ত্রী করা নিয়ে মুখ খোলা থেকে প্রায়শই দলের একাধিক বিষয়ে সরব হতে দেখা গেছে সব্যসাচীকে। এমনকি প্রকাশ্যে তাঁকে ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান দিতেও শোনা গেছে। যা নিয়ে ক্রমেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন দানা বাঁধছিল।
মাস খানেক আগে বিদ্যুৎকর্মীদের বিক্ষোভে সামলি হয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন সব্যসাচী। এরপরই সব্যসাচীর ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ হন তৃণমূলনেত্রী। যার জেরে বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে শেষপর্যন্ত ইস্তফা দিতে বাধ্য হন সব্যসাচী। সেই ফাটল আর জোড়া লাগেনি। তাঁর দলছাড়া যে সময়ের অপেক্ষা সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই।
সব্যসাচীর সঙ্গে দলের যে দূরত্ব বাড়ছিল তা লোকাননি ফিরহাদ হাকিমও। প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করলেও পরবর্তীকালে একদা ঘনিষ্ঠ সব্যসাচীকে দল ছাড়ার বার্তাই দেন ফিরহাদ। আর যতই দিন এগিয়েছে ততই গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকেছেন সব্যসাচী। কিছুদিন আগে সল্টলেকে তাঁর গণেশপুজোয় দেখা গিয়েছিল বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। এমনকি সম্প্রতি দিল্লিতেও গিয়েছিলেন সব্যসাচী। ১৭ সেপ্টেমবর নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে সল্টলেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য আয়োজিত যজ্ঞতেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিবির বদল করতে চলেছেন সব্যসাচী। মঙ্গলবারই সেই দিন বলে জানা যাচ্ছে।