সংক্ষিপ্ত

শেষ বিধানসভা ভোট পর্ব মিটতেই ছেলেকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরেই তাঁর বিধায়ক পদ কেন খারিজ হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে বিভিন্ন মহলে। সরহ হয় বিজেপি। ঘোলা হয় জল।

শেষ বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election on WB) বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। যদিও ভোটের পালা সাঙ্গ হতেই ফের মুকুলের প্রত্যাবর্তন ঘটে পুরনো দল তৃণমূল-কংগ্রেসে (Trinamool Congres)। যা নিয়ে ফের তোলপাড় হয়ে যায় বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এদিকে এরপরেই মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নিতে উঠে পড়ে লাগে পদ্ম শি্বির। এই নিয়ে বিধানসভার স্পিকার (Speaker of the Legislative Assembly), কলকাতা হাইকোর্ট (CalCutta High Court) এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় বিজেপি (BJP in SC)। এবার সেই সংক্রান্ত আরও একটি মামলাতেই নয়া নির্দেশ দিতে দেখা গেল দেশের শীর্ষ আদালতকে। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি করার জন্য সোমবার নয়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এদিকে গত বিধানসভা ভোট পর্ব মিটতেই ছেলেকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর এরপরেই তাঁর বিধায়ক পদ কেন খারিজ হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে বিভিন্ন মহলে। সরহ হয় বিজেপি। ঘোলা হয় জল। যদিও তৃণমূলে নয়, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়। শুধু তাই নয়, আদৌ কোনওদিনই নাকি তিনি তৃণমূলে যোগই দেননি। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনজীবী মারফত লিখিত ভাবে এমনটা আগেই জানিয়েছেন মুকুল। যা নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও তাঁর মুখে বারবার শোনা গিয়েছে, ভারতীয় জনতা পার্টি বিপুলভাবে জয়ী হবে। আবার কখনও বলেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তো তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও মানসিক অসুস্থতার জন্যই তিনি এসব ভুলভাল বকছেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। সাবধানী অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। এমতাবস্থায় এবার সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর চর্চা।

আরও পড়ুন-এক ধাক্কায় ১০ হাজেরের নীচে নামল দৈনিক সংক্রমণ, তবে পজেটিভিটি রেটে রয়েছে চিন্তা

এদিকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ কী খারিজ হয়ে যাবে?‌ এই প্রশ্নের উত্তরও মিলবে শীঘ্রই। এমনটাই মত রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ সংক্রান্ত কলকাতা হা কোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েচিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনের সেই শুনানিতেই এদিন নয়া রায় দেয় শীর্ষ আদালত। যা নিয়েই বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা।