সংক্ষিপ্ত

খাস কলকাতায় চারিদিকে যেন আগাছার মতোন গছিয়ে উঠেছে মধুচক্রের আসর। পয়সার লালসায় এই যৌন খেলায় মেতে উঠছে ছোট থেকে বড় সকলেই। কেউ বা নিজের ইচ্ছায় আবার কাউকে জোর করেই নামানো হয়েছে এই যৌনখেলায়। এবার খাস কলকাতার বুকে ঝকঝকে বিউটি পার্লার এবং স্পা-এর আড়ালে রমরমিয়ে চলছে মধুচক্র। দীর্ঘদিন ধরে স্পা-এর আড়ালেই চলছিল দেহব্যবসা। কিন্তু এবার  আর শেষরক্ষা হল না। পুলিশি অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়ল মধুচক্রের মূল পান্ডা।

খাস কলকাতায় (Kolkata) চারিদিকে যেন আগাছার মতোন গছিয়ে উঠেছে মধুচক্রের আসর (Sex Racket)। পয়সার লালসায় এই যৌন খেলায় মেতে উঠছে ছোট থেকে বড় সকলেই। কেউ বা নিজের ইচ্ছায় আবার কাউকে জোর করেই নামানো হয়েছে এই যৌনখেলায়। এবার খাস কলকাতার বুকে ঝকঝকে বিউটি পার্লার এবং (Spa)  স্পা-এর আড়ালে রমরমিয়ে চলছে মধুচক্র। দীর্ঘদিন ধরে স্পা-এর আড়ালেই চলছিল দেহব্যবসা। কিন্তু এবার  আর শেষরক্ষা হল না। পুলিশি অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়ল মধুচক্রের মূল পান্ডা।

কলকাতায় (Kolkata) হেয়ার স্ট্রিট থানা চত্বরে অভিজাত এলাকায় পার্লার খুলেছিলেন এক মহিলা। তার সঙ্গে ছিলেন আরও এক ব্যক্তি। ঝা চকচকে পার্লারের আড়ালেই রমরমিয়ে বসেছিল মধুচক্রের আসর। পার্লারের বাইরেই বিভিন্ন পরিষেবার পাশাপাশি দেওয়া থাকত স্পা (Spa) ও মাসাজের বিজ্ঞাপন। প্রায়শই দিন ও রাতেই দামী গাড়ির ভিড় লেগেই থাকত পার্লারের অন্দরে। কিন্তু কীসের এত ভিড় তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। তবে পার্লারের আড়ালে যে মধুচক্র (Sex Racket) চলছিল তা ঘুণাক্ষরে টের পায়নি কেউ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই পার্লারের শাখা খুলেছিল ওই দুই ব্যক্তি। সেই খবর পুলিশের কানে পৌঁছতেও  খুব বেশি সময় লাগেনি। শুধু সময়ের অপেক্ষাতে ছিল পুলিশ।

 

 

শেষমেষ মঙ্গলবার রাতে হেয়ারস্ট্রিট থানা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এবং তারপরেই স্পা-এর আড়ালে মধুচক্রের (Sex Racket) পর্দা ফাঁস হয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্লারের মালিক বাণী পাত্র, সুরেন্দ্র গোপাল সহ মহম্মদ আরিফ নামে এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। মধুচক্রের মূল পান্ডার সঙ্গে একজন কাস্টমারও গ্রেফতার হয়। বুধবারই ধৃতদের  ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। ধৃত কাস্টমার জামিন পেয়ে  গেছে। বাকিদের দুদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রের খবর বেশ কয়েকদিন ধরেই বিউটি পার্লার এবং স্পা-এর আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্রের (Sex Racket) আসর। সেই খবর পুলিশের কানে পৌঁছতেই অভিযান চালায় পুলিশ। এবং দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত ধৃতরা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এই ব্যবসার জাল ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এবং দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে। শুধু তাই নয়  দেহব্যবসার সঙ্গে রূপোলি পর্দার নায়ক-নায়িকাদেরও যোগাযোগ রয়েছে। অভিনয়ের জগতে এসে  অনেকেই  মধুচক্রেও জড়িয়ে পড়ে।