সংক্ষিপ্ত
- একাদশীতে দুই মেজাজে দুই ভিআইপি
- লাল পাঞ্জাবিতে সেজে চমকে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
- পাড়ার পুজোর বিসর্জনে নাচ সৌরভের
আবার এক বছরের অপেক্ষা। কিন্তু প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে একাদশীর দিন দুই মেজাজে দেখা গেল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোয় এ দিন লাল পাঞ্জাবি, ধুতি, মানানসই উত্তরীয়র সাজে চমকে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। নিজের বাড়ি থেকে ফিয়াট গাড়িতে চেপে মণ্ডপে এলেন তিনি। অন্যদিকে নিজের বাড়ির কাছে বেহালা প্লেয়ারস কর্নারের পুজো বিসর্জনের আগে ঢাকের তালের সঙ্গে নাচলেন সৌরভ। কলকাতায় থাকলে নিজের পাড়ার পুজোয় যতটা সম্ভব সময় কাটানোর চেষ্টা করেন মহারাজ। হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে এবার পুজোয় কলকাতায় থাকার সুযোগ হয়েছে। বেহালা প্লেয়ার্স কর্নারের পুজোয় এর আগে ঢাক বাজাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। কখনও আবার ছদ্মবেশে চলে গিয়েছেন ভাসানে। এবার বিসর্জনের আগে পাড়ার অন্যান্যদের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নাচতে দেখা গেল প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে।
সাধারণ সারা বছরই পাঞ্জাবি এবং পাজামা পরিহিত হয়েই দেখা যায় পার্থবাবুকে। ধুতি সচরাচর তিনি পরেন না। এ দিন লাল পাঞ্জাবির সঙ্গে নকশা করা ধুতি পরে সেকথা স্বীকারও করে নিলেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। শিক্ষামন্ত্রীর অকপট স্বীকারোক্তি, 'এই নিয়ে জীবনে তিনবার ধুতি পরলাম। প্রথম পরেছিলাম বিয়েতে, দ্বিতীয়বার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় আর আজ পরলাম।' পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই এ দিন নাকতলা উদয়ন সংঘে সিঁদুরখেলা হয়।
অন্যদিকে পাড়ার পুজোয় নাচের ফাঁকে হাসিমুখে সৌরভ জানালেন, এ বছর বিসর্জনে যাবেন না তিনি। সৌরভের কথায়, 'এটা পাড়ার নয়, আমার বাড়িরই পুজো। অন্যবার ঢাক বাজাই, বিসর্জনেও যাই। কিন্তু এবার হয়তো আর যাওয়া হবে না। সবাইকে শুভ বিজয়া আর দশেরার শুভেচ্ছা। সারাবছর ভাল কাটুক।'